ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

সুবর্ণচরে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে শিশু ধর্ষণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০২:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০ ২৮৬৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে এক শিশু ছাত্রীকে (৭) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চরহাছান গ্রামের আব্দুল হক কাজী (৫৮) পলাতক রয়েছে। গুরুত্বর অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 
শুক্রবার রাত পর্যন্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। অভিযুক্ত আব্দুল হক কাজী চরহাছান গ্রামের দায়মুদ্দিন কাজীর ছেলে আব্দুল হক কাজী।
শিশুটির পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে শিশু শ্রেণির ওই ছাত্রী তাদের পাশের বাড়ীর শিশুদের সাথে খেলাধুলা করছিল। এ সময় তার প্রতিবেশী আবদুল হক কাজী শিশুটিকে বিস্কুট দেওয়ার কথা বলে তার বসত ঘরে নিয়ে যায়। ঘরের দরজা বন্ধ করে শিশুটির মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে আব্দুল হক। এসময় এ ঘটনা কাউকে বললে তাকে হত্যা করার হুমকি দেয়। রক্তাক্ত শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি গিয়ে বিষয়টি তার মা’কে জানায়। পরে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য (মেম্বার) ফজিলাতুন নেসাকে জানালে তিনি বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করে দেওয়া হবে বলে তাদের জানান। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা চরজব্বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম মাষ্টারের কাছে ঘটনা জানালে তিনি বৃহস্পতিবার রাতেই চরজব্বার থানায় শিশুটি ও তার পরিবারকে পাঠিয়ে দেন। রাতেই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে আব্দুল হক কাজীকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে নারী ইউপি সদস্য ফজিলাতুন নেসার ব্যবহৃত মোবাইলে কল করলে তার স্বামী ফোন রিসিভ করেন। তিনি জানান তার স্ত্রী (মহিলা মেম্বার) এখন বাড়িতে নেই পরে কথা বলবেন।
চরজব্বার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নারী ইউপি সদস্যকে জানানোর পরও তিনি ঘটনাটি সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করার  কথা বলে শিশুটির পরিবারকে মামলা করতে দেননি। পরে রাতে তিনি বিষয়টি শুনে সাথে সাথে তাদের চরজব্বার থানায় পাঠিয়ে ওসিকে মামলা নেওয়ার অনুরোধ করেন।
চরজব্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন, শিশুটিকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক পলাতক রয়েছে। তবে তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সুবর্ণচরে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে শিশু ধর্ষণ

আপডেট সময় : ১১:০২:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে এক শিশু ছাত্রীকে (৭) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চরহাছান গ্রামের আব্দুল হক কাজী (৫৮) পলাতক রয়েছে। গুরুত্বর অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 
শুক্রবার রাত পর্যন্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। অভিযুক্ত আব্দুল হক কাজী চরহাছান গ্রামের দায়মুদ্দিন কাজীর ছেলে আব্দুল হক কাজী।
শিশুটির পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে শিশু শ্রেণির ওই ছাত্রী তাদের পাশের বাড়ীর শিশুদের সাথে খেলাধুলা করছিল। এ সময় তার প্রতিবেশী আবদুল হক কাজী শিশুটিকে বিস্কুট দেওয়ার কথা বলে তার বসত ঘরে নিয়ে যায়। ঘরের দরজা বন্ধ করে শিশুটির মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে আব্দুল হক। এসময় এ ঘটনা কাউকে বললে তাকে হত্যা করার হুমকি দেয়। রক্তাক্ত শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি গিয়ে বিষয়টি তার মা’কে জানায়। পরে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য (মেম্বার) ফজিলাতুন নেসাকে জানালে তিনি বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করে দেওয়া হবে বলে তাদের জানান। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা চরজব্বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম মাষ্টারের কাছে ঘটনা জানালে তিনি বৃহস্পতিবার রাতেই চরজব্বার থানায় শিশুটি ও তার পরিবারকে পাঠিয়ে দেন। রাতেই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে আব্দুল হক কাজীকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে নারী ইউপি সদস্য ফজিলাতুন নেসার ব্যবহৃত মোবাইলে কল করলে তার স্বামী ফোন রিসিভ করেন। তিনি জানান তার স্ত্রী (মহিলা মেম্বার) এখন বাড়িতে নেই পরে কথা বলবেন।
চরজব্বার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নারী ইউপি সদস্যকে জানানোর পরও তিনি ঘটনাটি সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করার  কথা বলে শিশুটির পরিবারকে মামলা করতে দেননি। পরে রাতে তিনি বিষয়টি শুনে সাথে সাথে তাদের চরজব্বার থানায় পাঠিয়ে ওসিকে মামলা নেওয়ার অনুরোধ করেন।
চরজব্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন, শিশুটিকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক পলাতক রয়েছে। তবে তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।