ঢাকা ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

নাতনি ধর্ষণ, দাদাকে বাঁধলেন এলাকাবাসী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৮:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০ ৩১১২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অনলাইন ডেস্কঃ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় দুই বছরের নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগে দাদা ইউসুফ আলীকে (৫০) আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রাখেন এলাকাবাসী। ধর্ষণের শিকার শিশুটি অভিযুক্ত ইউসুফ আলীর ভাগ্নের মেয়ে।

শুক্রবার বিকালে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উত্তর কলোনি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

শিশুটির পরিবার ও এলাকাবাসী বলছে, শিশুটি ও তার ভাই বাড়ির পাশেই সম্পর্কে দাদা ইউসুফ আলীর বাড়ির আঙ্গিনায় বিকালে খেলতে যায়। পরে তার ভাই চলে আসার পর বসতঘরে দরজা বন্ধ করে শিশুটিকে ধর্ষণ করে ইউসুফ আলী। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে ইউসুফ আলী ও শিশুটিকে বিবস্ত্র অবস্থায় পায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ইউসুফ আলীকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানায়।

নির্যাতিতা শিশুটির মা-বাবা অভিযোগ করে বলেন, মেয়ের কান্নার শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা তাদের খবর দিলে তারা গিয়ে দেখেন মেয়ে বিবস্ত্র পড়ে আছে; তার গায়ে রক্ত।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ধন মিয়া জানান, ধর্ষণের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয় লোকজন ও তার পরিবার ধর্ষককে আটক করে রেখেছে। পুলিশকে জানানোর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ঘটনা তদন্ত করছে।

বাংলাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন রানা বলেন, ঘটনাটি আমাকে ইউপি সদস্য জানিয়েছেন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করছে।

দোয়ারাবাজার থানার ওসি নাজির আলম জানান, শিশুটির ধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউসুফ আলীকে আটক করেছে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হায়াতুন নবী জানান, শিশু ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয়রা একজনকে আটক করেছে বলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নাতনি ধর্ষণ, দাদাকে বাঁধলেন এলাকাবাসী

আপডেট সময় : ১১:০৮:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০

অনলাইন ডেস্কঃ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় দুই বছরের নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগে দাদা ইউসুফ আলীকে (৫০) আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রাখেন এলাকাবাসী। ধর্ষণের শিকার শিশুটি অভিযুক্ত ইউসুফ আলীর ভাগ্নের মেয়ে।

শুক্রবার বিকালে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উত্তর কলোনি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

শিশুটির পরিবার ও এলাকাবাসী বলছে, শিশুটি ও তার ভাই বাড়ির পাশেই সম্পর্কে দাদা ইউসুফ আলীর বাড়ির আঙ্গিনায় বিকালে খেলতে যায়। পরে তার ভাই চলে আসার পর বসতঘরে দরজা বন্ধ করে শিশুটিকে ধর্ষণ করে ইউসুফ আলী। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে ইউসুফ আলী ও শিশুটিকে বিবস্ত্র অবস্থায় পায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ইউসুফ আলীকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানায়।

নির্যাতিতা শিশুটির মা-বাবা অভিযোগ করে বলেন, মেয়ের কান্নার শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা তাদের খবর দিলে তারা গিয়ে দেখেন মেয়ে বিবস্ত্র পড়ে আছে; তার গায়ে রক্ত।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ধন মিয়া জানান, ধর্ষণের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয় লোকজন ও তার পরিবার ধর্ষককে আটক করে রেখেছে। পুলিশকে জানানোর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ঘটনা তদন্ত করছে।

বাংলাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন রানা বলেন, ঘটনাটি আমাকে ইউপি সদস্য জানিয়েছেন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করছে।

দোয়ারাবাজার থানার ওসি নাজির আলম জানান, শিশুটির ধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউসুফ আলীকে আটক করেছে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হায়াতুন নবী জানান, শিশু ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয়রা একজনকে আটক করেছে বলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।