নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় পুলিশ ৮ হামলাকারীকে আটক করেছে। মঙ্গলবার রাতের দিকে সোনাইমুড়ী পূর্বপাড়ার বিল সংলগ্ন বাড়ি থেকে তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলো- উপজেলার ভারতীয় ইউনিয়নের মকিল্যা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে হৃদয়, জসিম মিস্ত্রির ছেলে জাকির হোসেন, নদনা ইউনিয়নের শাকতলা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের, সোহেলের ছেলে আশিক, সোনাইমুড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ফরহাদ, আনোয়ার হোসেনের ছেলে রফিক, মোহাম্মদ হানিফের ছেলে বিপ্লব ও ইসমাইলের ছেলে সালমান।
থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গবার রাত ৯ টার দিকে মুখোশ পরা ২০ থেকে ৩০ জন যুবক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হাই স্কুল সড়কের দু’পাশে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় তাদের হামলায় শাকিল টেইলার্স, ভাই ভাই ফার্নিচার, স্পোর্ট কর্ণার, হালিম স্টোর, মারজান কসমেটিকস, ইব্রাহিম আর্ট, ইবনে সিনা ডিজিটাল ক্লিনিক চুরমার হয়ে যায়।
এছাড়াও ছাতারপাইয়া চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কের প্রায় ২০টি দোকানের শাটার কোপানো হয়। এর আগে, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার চাষির হাট ইউনিয়নের পদুয়া গ্রামে ২০১৬ সালে নাওতলা গ্রামের ফরহাদ হত্যা মামলার জামিন পাওয়া আসামি কাউসার আলমকে নিহত ফরহাদের ছোটভাই মাসুম মারধর করে। এরই জের ধরে রাত ৯ টার দিকে কাউসার এর পক্ষ নিয়ে একদল যুবক মুখোশ পরে এসে দোকান- পাট গুলোতে হামলা চালায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গিয়াস উদ্দিন জানান, হামলায় জড়িত ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।