ঢাকা ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

সাবেক স্ত্রীকে নির্যাতন, স্বামী গ্রেপ্তার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ নভেম্বর ২০২০ ৫১১১ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় তালাক দেওয়ার দুই মাস পর সাবেক স্ত্রীকে অপহরন করে বন্ধুদের নিয়ে গণধর্ষণের চেষ্টা ও আটকে রেখে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ সাবেক স্বামী ইসমাইল হোসেন বাপ্পীকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দুপুুরে গ্রেপ্তারকৃত ইসমাইল হোসেন বাপ্পিকে বিচারিক আদলতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিতা বাদী হয়ে ৪জনকে আসামী করে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত বাপ্পী কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামের মো: ইউসুফের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামের বাপ্পি দুই বছর আগে জোর পূর্বক ওই তরুনীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে বখাটে বাপ্পি নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। প্রায় সময়ই তুচ্ছ ঘটনায় ওই তরুনীকে মারধর করতো। বাড়িতে শ্বাশুড়ি, দেবর এবং ননদও তাকে মানসিক নির্যাতন করতো। গত দু’মাস আগে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। ডিভোর্সের পর তরুণী জেলা শহর মাইজদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে শিক্ষানবিশ নার্স হিসেবে চাকরি নেন।

বুধবার রাতে কাজ শেষে শহরের হরি নারায়নপুর চাচার বাসায় যাওয়ার পথে মাইজদী পুরাতন বাস স্ট্যান্ডে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। রাত ৮টার দিকে বাপ্পির নেতৃত্বে চার যুবক একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে এসে তাকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে মুখ ও চোখ বেধে সিএনজির ভিতরে নির্যাতন করতে করতে কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামে বাপ্পির বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে বাপ্পি ও তার সহযোগী রহিমসহ চারজন তাকে একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে গণধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে তিনি বাধা দিলে তাকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখে। বৃহস্পতিবার ভোরে তারা ঘুমিয়ে পড়লে ওই তরুণী কৌশলে পালিয়ে মাইজদী তার চাচার বাসায় চলে আসে। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সুধারাম মডেল থানায় ইসমাইল হোসেন বাপ্পিকে প্রধান আসামী করে চার জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে মেয়েটির সাবেক স্বামী ও অপহরনের মূল হোতা ইসমাইল হোসেন বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নবীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রাতে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

সাবেক স্ত্রীকে নির্যাতন, স্বামী গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৯:২৪:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ নভেম্বর ২০২০

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় তালাক দেওয়ার দুই মাস পর সাবেক স্ত্রীকে অপহরন করে বন্ধুদের নিয়ে গণধর্ষণের চেষ্টা ও আটকে রেখে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ সাবেক স্বামী ইসমাইল হোসেন বাপ্পীকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দুপুুরে গ্রেপ্তারকৃত ইসমাইল হোসেন বাপ্পিকে বিচারিক আদলতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিতা বাদী হয়ে ৪জনকে আসামী করে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত বাপ্পী কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামের মো: ইউসুফের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামের বাপ্পি দুই বছর আগে জোর পূর্বক ওই তরুনীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে বখাটে বাপ্পি নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। প্রায় সময়ই তুচ্ছ ঘটনায় ওই তরুনীকে মারধর করতো। বাড়িতে শ্বাশুড়ি, দেবর এবং ননদও তাকে মানসিক নির্যাতন করতো। গত দু’মাস আগে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। ডিভোর্সের পর তরুণী জেলা শহর মাইজদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে শিক্ষানবিশ নার্স হিসেবে চাকরি নেন।

বুধবার রাতে কাজ শেষে শহরের হরি নারায়নপুর চাচার বাসায় যাওয়ার পথে মাইজদী পুরাতন বাস স্ট্যান্ডে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। রাত ৮টার দিকে বাপ্পির নেতৃত্বে চার যুবক একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে এসে তাকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে মুখ ও চোখ বেধে সিএনজির ভিতরে নির্যাতন করতে করতে কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামে বাপ্পির বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে বাপ্পি ও তার সহযোগী রহিমসহ চারজন তাকে একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে গণধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে তিনি বাধা দিলে তাকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখে। বৃহস্পতিবার ভোরে তারা ঘুমিয়ে পড়লে ওই তরুণী কৌশলে পালিয়ে মাইজদী তার চাচার বাসায় চলে আসে। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সুধারাম মডেল থানায় ইসমাইল হোসেন বাপ্পিকে প্রধান আসামী করে চার জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে মেয়েটির সাবেক স্বামী ও অপহরনের মূল হোতা ইসমাইল হোসেন বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নবীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রাতে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।