ঢাকা ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

পুলিশ ভয়ে পালাতে গিয়ে সেনবাগে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩০:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০ ৬৩৩৮ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে পুলিশ আসছে খবর শুনে পালাতে গিয়ে মো কবির হোসেন (৫০) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি একটি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ছিলেন। পুলিশ বলছে ভয়ে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে (স্টোক) তার মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খবর পেয়ে বসন্তপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ীর পাশ^বর্তী একটি সুপারি বাগান থেকে ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত কবির হোসেন ওই বাড়ীর মোকলেসুর রহমানের ছেলে। তিনি বসন্তপুর বাজারে ব্যবসা করতেন।
জানা গেছে, ব্যবসায়ী কবিরের বিরুদ্ধে মারামারির ঘটনায় ২০১৪ সালের একটি মামলা ছিল। রবিবার রাত ১২টার সেনবাগ থানার এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সিএনজি যোগে বসন্তপুর বাজারে গিয়ে কবিরের চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়ায়। এসময় কবিরকে পুলিশ জানতে চেয়ে কবিরকেই প্রশ্ন করলে কবির নিজেকে মাঈন উদ্দিন বলে পরিচয় দেয়। পরে বাজারের নাইটগার্ড জলিলের দেওয়া তথ্যমতে পুলিশ পাশ^বর্তী কবিরের বাড়ীর দিকে যায়। এ সুযোগে কবির পাশ^বর্তী একটি সুপারী বাগানে গিয়ে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। সোমবার সকালে স্থানীয়রা ওই সুপারী বাগানের মধ্যে কবিরের লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, কবির এরআগেও কয়েকবার স্টোক করেছিল। ধারণা করা হচ্ছে রাতে ওই বাগানে পুনঃরায় স্টোকে তার মত্যু হয়েছে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, ওই ব্যবসায়ী কবিরের বিরুদ্ধে একটি মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের ধরতে যায় পুলিশ। কবিরের বাড়ীতে গিয়ে তাকে না পেয়ে কবির যেন কোর্টে আত্মসমার্পন করে তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে পুলিশ চলে আসে। বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন জানায় একটি সুপারী বাগানের মধ্যে কবিরের লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কবিরের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে নিহতের পরিবারের লোকজনের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করবে এমন ভয়ে স্টোকে তার মৃত্যু হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

পুলিশ ভয়ে পালাতে গিয়ে সেনবাগে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

আপডেট সময় : ১২:৩০:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে পুলিশ আসছে খবর শুনে পালাতে গিয়ে মো কবির হোসেন (৫০) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি একটি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ছিলেন। পুলিশ বলছে ভয়ে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে (স্টোক) তার মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খবর পেয়ে বসন্তপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ীর পাশ^বর্তী একটি সুপারি বাগান থেকে ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত কবির হোসেন ওই বাড়ীর মোকলেসুর রহমানের ছেলে। তিনি বসন্তপুর বাজারে ব্যবসা করতেন।
জানা গেছে, ব্যবসায়ী কবিরের বিরুদ্ধে মারামারির ঘটনায় ২০১৪ সালের একটি মামলা ছিল। রবিবার রাত ১২টার সেনবাগ থানার এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সিএনজি যোগে বসন্তপুর বাজারে গিয়ে কবিরের চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়ায়। এসময় কবিরকে পুলিশ জানতে চেয়ে কবিরকেই প্রশ্ন করলে কবির নিজেকে মাঈন উদ্দিন বলে পরিচয় দেয়। পরে বাজারের নাইটগার্ড জলিলের দেওয়া তথ্যমতে পুলিশ পাশ^বর্তী কবিরের বাড়ীর দিকে যায়। এ সুযোগে কবির পাশ^বর্তী একটি সুপারী বাগানে গিয়ে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। সোমবার সকালে স্থানীয়রা ওই সুপারী বাগানের মধ্যে কবিরের লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, কবির এরআগেও কয়েকবার স্টোক করেছিল। ধারণা করা হচ্ছে রাতে ওই বাগানে পুনঃরায় স্টোকে তার মত্যু হয়েছে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, ওই ব্যবসায়ী কবিরের বিরুদ্ধে একটি মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের ধরতে যায় পুলিশ। কবিরের বাড়ীতে গিয়ে তাকে না পেয়ে কবির যেন কোর্টে আত্মসমার্পন করে তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে পুলিশ চলে আসে। বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন জানায় একটি সুপারী বাগানের মধ্যে কবিরের লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কবিরের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে নিহতের পরিবারের লোকজনের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করবে এমন ভয়ে স্টোকে তার মৃত্যু হয়েছে।