ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

বেগমগঞ্জে ধর্ষিতার চাচাত ভাইয়ের হস্তক্ষেপে অবৈধ গর্ভপাত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০ ৫৩৯৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইমাম উদ্দিন আজাদ:

 

নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষিত কিশোরী অন্তসত্তা হলে অর্থের প্রলোভনে চাচাত ভাই অবৈধ গর্ভপাত ঘটায়। মামলার জামিন প্রাপ্ত আসমীরা ভিকটিমের পরিবারের উপর নানা-ভাবে চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগও উঠেছে।

ঘটনাটি বেগমগঞ্জ উপজেলার ১১নং দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড এর আবিদ মিয়ার বাড়ীতে ঘটেছে। প্রতিবেশী আলী আকবর ওরফে আকাব্বর ব্যাপারীর পুত্র পল্লী চিকিৎসক কাউসার হামিদ ওরফে কাউসার আহাম্মদ (২৮) ভিকটিম কিশোরী পরিবারে চিকিৎসার নামে যাতায়ত করে। এই সুবাধে সুন্দরী অবলা কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ফলে কিশোরী অন্তসত্বা হয়ে পড়ে। বিয়ের প্রলোভনে কালক্ষেপনের একপর্যায়ে বিষয়টি সমাজে জানাজানি হলে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মুকবুল মেম্বারের নেতৃত্বে শালিশ বৈঠকে ভিকটিমের পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীর চাচাত ভাই আলমগীরের তত্ববধানে প্রথমে চৌমুহানী পূর্ববাজারস্থ ইজি ল্যাভে আল্ট্রা করিয়ে পরে চৌমুহানী কলেজ সংলগ্ন গণিপুর লাভলী ভিলায় নিয়ে হোমিও ডাক্তার জেসমিন আক্তারের সাথে ৩০ হাজার টাকা চুক্তি বদ্ধ হয়ে ৭মাসের সন্তানকে অবৈধ গর্ভপাত ঘটায়।

এর পর অবৈধ গর্ভপাতে ৭মাসের শিশুর লাশটি আলমগীরের হেফাজতে রাখা হয়। বাদীকে সালিশের সিদ্ধান্ত মতে ভিকটিমের পরিবারকে কোন টাকা না দেওয়ায়, গত ৯ জুলাই বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ১১জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন, মামলা নং: ১৩/২০২০ইং।

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় মামলার ৩নং স্বাক্ষী ও ভিকটিমের চাচাত ভাই চতুর অর্থলোভী আলমগীর (২৮) এর মধ্যস্থতায় ও মুকবুল মেম্বারের সহযোগীতায় ১নং আসামী কাউছার হামিদ, ২নং আসামী জেসমিন আক্তার এর যোগসাজসে চৌমুহানী কলেজ রোডের লাভলী ভিলায় ৭মাসের পুত্র সন্তানটিকে গর্ভপাত করে। লাশটি আলমগীরের হেফাজতে রেখে আসামীর পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করে। নিরক্ষর অবলা মামলার বাদীকে ভুল বুঝিয়ে ও ভয় ভিতি দেখিয়ে মিমাংসার নামে আসামীদের জামিন পেতে সহায়তা করে । বিষয়টি নিয়ে এলাকার জনসাধারণের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভিকটিম ও এলাকাবাসী ঘটনাটির সঠিক বিচার দাবী করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

বেগমগঞ্জে ধর্ষিতার চাচাত ভাইয়ের হস্তক্ষেপে অবৈধ গর্ভপাত

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০

ইমাম উদ্দিন আজাদ:

 

নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষিত কিশোরী অন্তসত্তা হলে অর্থের প্রলোভনে চাচাত ভাই অবৈধ গর্ভপাত ঘটায়। মামলার জামিন প্রাপ্ত আসমীরা ভিকটিমের পরিবারের উপর নানা-ভাবে চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগও উঠেছে।

ঘটনাটি বেগমগঞ্জ উপজেলার ১১নং দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড এর আবিদ মিয়ার বাড়ীতে ঘটেছে। প্রতিবেশী আলী আকবর ওরফে আকাব্বর ব্যাপারীর পুত্র পল্লী চিকিৎসক কাউসার হামিদ ওরফে কাউসার আহাম্মদ (২৮) ভিকটিম কিশোরী পরিবারে চিকিৎসার নামে যাতায়ত করে। এই সুবাধে সুন্দরী অবলা কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ফলে কিশোরী অন্তসত্বা হয়ে পড়ে। বিয়ের প্রলোভনে কালক্ষেপনের একপর্যায়ে বিষয়টি সমাজে জানাজানি হলে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মুকবুল মেম্বারের নেতৃত্বে শালিশ বৈঠকে ভিকটিমের পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীর চাচাত ভাই আলমগীরের তত্ববধানে প্রথমে চৌমুহানী পূর্ববাজারস্থ ইজি ল্যাভে আল্ট্রা করিয়ে পরে চৌমুহানী কলেজ সংলগ্ন গণিপুর লাভলী ভিলায় নিয়ে হোমিও ডাক্তার জেসমিন আক্তারের সাথে ৩০ হাজার টাকা চুক্তি বদ্ধ হয়ে ৭মাসের সন্তানকে অবৈধ গর্ভপাত ঘটায়।

এর পর অবৈধ গর্ভপাতে ৭মাসের শিশুর লাশটি আলমগীরের হেফাজতে রাখা হয়। বাদীকে সালিশের সিদ্ধান্ত মতে ভিকটিমের পরিবারকে কোন টাকা না দেওয়ায়, গত ৯ জুলাই বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ১১জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন, মামলা নং: ১৩/২০২০ইং।

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় মামলার ৩নং স্বাক্ষী ও ভিকটিমের চাচাত ভাই চতুর অর্থলোভী আলমগীর (২৮) এর মধ্যস্থতায় ও মুকবুল মেম্বারের সহযোগীতায় ১নং আসামী কাউছার হামিদ, ২নং আসামী জেসমিন আক্তার এর যোগসাজসে চৌমুহানী কলেজ রোডের লাভলী ভিলায় ৭মাসের পুত্র সন্তানটিকে গর্ভপাত করে। লাশটি আলমগীরের হেফাজতে রেখে আসামীর পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করে। নিরক্ষর অবলা মামলার বাদীকে ভুল বুঝিয়ে ও ভয় ভিতি দেখিয়ে মিমাংসার নামে আসামীদের জামিন পেতে সহায়তা করে । বিষয়টি নিয়ে এলাকার জনসাধারণের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভিকটিম ও এলাকাবাসী ঘটনাটির সঠিক বিচার দাবী করে।