নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘ অপেক্ষার পর বহু কাক্সিক্ষত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নোয়াখালীতে এসে পৌঁছেছে। প্রথম পর্যায়ে ৯টি কার্টুনে ১০হাজার ৪০০ বায়েলে ভ্যাকসিন রয়েছে মোট ১লাখ ৪হাজার ডোজ। ভ্যাকসিনগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে।
রবিবার দুপুরে পুলিশি নিরাপত্তায় কুমিল্লা-ফেনী হয়ে নোয়াখালীতে আসে ভ্যাকসিন বহনকারী ফ্রিজিং ভ্যানটি। নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি হিসেবে ভ্যাকসিনগুলো গ্রহণ করেন কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিদ্যুৎ কুমার।
সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে টিকাদান কর্মসূচী চালু করা হবে। ইপিআই কর্মসূচির মত করে করোনা প্রতিরোধ টিকা প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জেলার ৯টি উপজেলায় এ টিকাদান কর্মসূচি চালু করা হবে। করোনার টিকাদানে নিয়োজিত থাকবে মোট ২৭টি টিম। টিকাদানকারী হিসেবে ২জন স্টাফ নার্স ও ৬জন স্বেচ্ছাসেবকের সমন্বয়ে প্রতিটি টিমে থাকবে। আগ্রহীরা অনলাইনের মাধ্যমে টিকা গ্রহনের আবেদন করতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, প্রথমে নোয়াখালীতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, কর্মী, চিকিৎসক, পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাদের শরীরে করোনার টিকা প্রদান করা হবে। পর্যায়ক্রমে জেলাবাসী এ সুবিধার আওতায় আসবে। জেলা মোট টিকা প্রদানের জন্য ১০টি কেন্দ্র থাকবে। জেলা ইপিআই এর ক্লোড স্টোরে ৫লাখেরও বেশি ভ্যাকসিন রাখা যাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বেক্সিমকো ফার্মার সহকারি বিক্রি ব্যবস্থাপক মো. নূরে আলম, আঞ্চলিক বিক্রি ব্যবস্থাপক গোপাল কৃষ্ণ ভদ্র, সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার নাছির আহমেদ, সহকারি পরিচালক ওষুধ প্রশাসন নোয়াখালী মাসুদুজ্জামান, স্বাচিপ নোয়াখালী সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (অপরাধ) এ এস এম সামছু উদ্দিন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নার্স রুনু ভেরোনিকাকে ভ্যাকসিন দেয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে করোনা প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচি।