নোয়াখালী প্রতিনিধি :
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে বুকে ধারণ করে প্রকাশনার ৩০ বছরে পদার্পন করেছে ভোরের কাগজ। পত্রিকাটির ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নোয়াখালীতে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১ টায় জেলা শহরের জজকোর্ট সড়কে বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে ভোরের কাগজ নোয়াখালী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোহেলের সার্বিক তত্বাবধায়নে ভোরের কাগজ পাঠক ফোরাম নোয়াখালী শাখার আয়োজনে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সহিদ উদ্দিন এস্কান্দার কচি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্টনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার অর্ধশতাধিক সাংবাদিকসহ এনজিও কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের শতাধিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক আবুল হাসেম, বকতিয়ার সিকদার, মনিরুজ্জামান চৌধুরী, মির মোশারফ হোসেন মিরন, সাংবাদিক জাহিদুর রহমান শামীম, নাসির উদ্দিন বাদল, আমিরুল ইসলাম হারুন, আবু নাছের মঞ্জু, মাহবুবুর রহমান, তাজুল ইসলাম মানিক ভূঁইয়া, আকাশ মো. জসিম, মো. ইদ্রিস মিয়া, আকবর হোসেন সোহাগ, আসাদুজ্জামান কাজল, আলা উদ্দিন শিবলু, লিটন চন্দ্র দাস, এনজিও কর্মকর্তা ও পাঠক ফোরাম সদস্য মো.আবুল হাসেম। সভায় সাংবাদিক এ.আর আজাদ সোহেলের সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভোরের কাগজ নোয়াখালী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোহেল।
এসময় ভোরের কাগজের প্রয়াত নোয়াখালী প্রতিনিধি বিজন সেনের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
প্রিন্ট মিডিয়াকে টিকিয়ে রাখা এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে আলোচনা সভার বক্তারা বলেন, অসা¤প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে শুরু হয়েছিল ভোরের কাগজের যাত্রা। সেই চেতনা লালনে আজো অবিচল সংগ্রাম করছে পত্রিকাটি। নানা অন্যায়-অবিচারের সঙ্গে আপসহীন অবস্থান, দেশের স্বার্থ ও সমৃদ্ধির পক্ষে সুদৃঢ় অবস্থানের কারণে পাঠকের কাছে ভোরের কাগজের এখনো আলাদা মর্যাদা রয়েছে। ভোরের কাগজের দীর্ঘ পথচলায় সম্পাদক শ্যামল দত্তের ভূমিকার প্রশংসা করেন বক্তারা।
আলোচনা সভা শেষে কেক কেটে উৎসবে মিলিত হন সাংবাদিকরা।