এনকে বার্তা ডেস্ক:
যত দিন যাচ্ছে করোনাভাইরাস তার আচরণ পরিবর্তন করছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের প্রায় এক-চতুর্থাংশই উপসর্গহীন। কোনো উপসর্গ ছাড়াই অনেকে করোনা পজিটিভ হচ্ছেন। আর তাঁরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন এবং তাঁদের কাছ থেকে অন্যরা সংক্রমিত হচ্ছে।
চিকিৎসা গবেষকরা বলছেন, কোনো ধরনের উপসর্গ ছাড়াই একজন মানুষ করোনা পজিটিভ হতে পারে। এর কোনো বৈজ্ঞানিক কারণ তাঁরা বলতে না পারলেও এর থেকে কিভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায় সেটা অনেকটা স্পষ্ট হলো চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কথায়।
রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের শিক্ষানবিস চিকিৎসক তাহমিদ জামান। রুমমেট কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় পরীক্ষা করান তিনিও। যদিও প্রকাশ পায়নি কোনো লক্ষণ-উপসর্গ, কিন্তু ফলাফল পজিটিভ আসে।
দেশে মোট আক্রান্তের বড় অংশই এমন উপসর্গহীন। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের তথ্যমতে, উপসর্গ নেই এমন রোগী ২০ শতাংশের বেশি। সে হিসেবে তিন হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে উদ্বেগের কারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাদের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি অনেক বেশি।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, যেহেতু লক্ষণ নেই সেই ব্যক্তি বা মানুষ নিজেই জানেন না তিনি করোনা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফলে তার শ্বাস-প্রশ্বাস ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
উপসর্গহীন রোগী শনাক্তে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসাদের খুঁজে বের করে পরীক্ষার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানউর রহমান বলেন, এই লক্ষণ না থাকার কারণে সমস্যা হচ্ছে তাদেরকে আমরা চাইলেও খুঁজে পাচ্ছি না। তারা যদি করোনা ছড়িয়ে দেয় এটা উপশম করা খুব কষ্ট হয়ে পড়ে।