নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
গ্রামীন সড়ক দিয়ে ইটভাটার মাটির ট্টাকট্রর চলা চলে বাধা দেয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তা ফয়সাল আহম্মেদকে হাত পা ভেঙ্গে দিল বখাটে যুবক কামাল উদ্দিন। ঘটনাটি বুধবার সন্ধ্যার পূর্বে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের হারিনকাটা-বাবুপুরশ্রীপুর সড়কের বাবুপুর শ্রীপুর গ্রামে কালু ডাক্তারের বাড়ীর সামনে ঘটে। ফয়সাল ফেনীর দাগনভূইয়া মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সহকারী ক্যাশ ইনচার্জ ও স্থানিয় বাবুপুর শ্রীপুর গ্রামের ডাঃ আবদুর রাজ্জাক প্রকাশ কালু ডাক্তারের ছেলে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রাতে একই এলাকার নাদু মিয়ার ছেলে আবদুল মতিন মেম্বার ও হারুনুর রশিদের ছেলে চৌধুরী কে আটক করে।
স্থানিয় ও আহতের পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, দীর্ঘ দিনে থেকে হারিনকাটা- বাবুপুরশ্রীপুর সড়ক দিয়ে পার্শ্ববর্তি বিজয় ব্রিক্সের মাটি বহন করে আসছে। এতে করে নতুন কার্পেটিং করা রাস্তার বিভিন্ন স্থানে সমস্যা হবে এই বলে গাড়ীর চালক কে ট্রাক্টর না চলাতে বারন করেন। ব্যাংক কর্মকর্তা ফয়সালের কথা না শুনায় সে রাস্তার মধ্যে একটি খুটি পুতে রাখার চেষ্টা করে ঘটনার দিন। এ সংবাদ পেয়ে পার্শ্ববর্তি বাড়ীর আবদুর রবের ছেলে কামাল উদ্দিন এসে মাটি খোড়ার যন্ত্র (লোহার খন্তা) দিয়ে এলোপাতাড়ী হামলা ও পিটিয়ে আহত করে ফয়সল কে।
এসময় তার আর্তচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ফয়সালকে উদ্ধার করে সেনবাগ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে সাথে সাথে শরীরের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নির্ণয় করতে একটি এক্স-রে পরিক্ষা দেয়। সেই রির্পোটে একটি পা ও হাতে কবজি ভেঙ্গে যাওয়ার নির্ণয় হয়।
এসময় কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সাথে সাথে তাকে ঢাকার পুঙ্গ হাসপাতলে রেফার করে। এ ঘটনায় আহত ফয়সালের পিতা ডাঃ আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে বুধবার রাতে সেনবাগ থানায় ৪ জন কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ রাতে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একই এলাকার নাদু মিয়ার ছেলে আবদুল মতিন মেম্বার ও হারুনুর রশিদের ছেলে চৌধুরীকে আটক করে। এঘটনায় অভিযুক্ত কামাল হোসেনের সাথে দীর্ঘ সময় যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল বাতেন মৃধা জানান, আটক আসামীদের গ্রেফতার দেখিয়ে বৃষ্পতিবার দুপুরে বিচারিক আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।