ঢাকা ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

কীর্তন হলো, সেখানে বাধা দিল না, ওয়াজ কেন বন্ধ করল: কাদের মির্জা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১ ৩৮৬৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ৮ নং ওয়ার্ডে ক্ষীরত মাজন বাড়ি সেখানে কীর্তন অনুষ্ঠানে যোগদান করেছি এবং পরিদর্শন করেছি। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা কীর্তন করেছে। আর গতকালকে আমি বসুরহাট পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওয়াজ মাহফিল করার জন্য পারমিশন দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি কেন পারমিশন দিলাম আজকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে তারা ক্ষান্ত হচ্ছে না। আমি বসুরহাট পাস ক্লাস পৌরসভার মেয়র কিন্তু আজকে সাধারণ পুলিশ অফিসার দিয়ে আমাকে অপমান করাচ্ছে। নানাভাবে লাঞ্ছিত করছে।
বুধবার (৩১ মার্চ) সকাল ১১টায় বসুরহাট বাজার পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আজকে কেন ওয়াজ বন্ধ করেছে। আপনারা এলাকার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হোন। কি জন্য ওয়াজ বন্ধ করেছে জবাব দিতে হবে। এখানে ওয়াজের সাথে যারা জড়িত ছিলেন। যে আপনাদের ওয়াজ বন্ধ করেছে। লিখিত লন। সেই লিখিতো প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাব, মন্ত্রীর কাছে পাঠাব। কেন তারা ওয়াজ বন্ধ করল। কীর্তনের দিন কীর্তন হলো, আমি সেখানে গেলাম। সেখানে অনেকক্ষণ ছিলাম। কিন্তু সেখানে বাধা দিল না। ওয়াজ কেন বন্ধ করল। শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এটা করেছে। এভাবে নানা ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত, প্রতিদিন।

কাদের মির্জা বলেন, এই (ইউএনও) ওসি, তদন্ত অফিসার ওবায়দুল কাদেরের সহযোগিতায় এখানে আছে। আজকে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য তারা এই কাজ করছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার বিচার একদিন কোম্পানীগঞ্জের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ একদিন করবে, আল্লাহ এক দিন করবে। আল্লার বিচার বড় বিচার। আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব আমার সাথে বেঈমানি করেছে না।

সেদিন তৌফিক এলাহী চৌধুরী হাজার হাজার মানুষের সামনে বেইজ্জতি করছে না। এটা আল্লাহ বিচার। মাইক কাই লই গেছে। ধাক্কায় দিছে, আল্লার বিচার শুরু হয়ে গেছে। এই (ইউএনও) ওসি, তদন্ত অফিসার একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য এদের বিচার আল্লাহ করবে, জনতার আদালতে হবে। কেন তারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করল। আমি এটার বিচার চাই। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাই। কেন ওয়াজ বন্ধ করা হল, এটার বিচার আমি চাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

কীর্তন হলো, সেখানে বাধা দিল না, ওয়াজ কেন বন্ধ করল: কাদের মির্জা

আপডেট সময় : ০৮:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ৮ নং ওয়ার্ডে ক্ষীরত মাজন বাড়ি সেখানে কীর্তন অনুষ্ঠানে যোগদান করেছি এবং পরিদর্শন করেছি। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা কীর্তন করেছে। আর গতকালকে আমি বসুরহাট পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওয়াজ মাহফিল করার জন্য পারমিশন দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি কেন পারমিশন দিলাম আজকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে তারা ক্ষান্ত হচ্ছে না। আমি বসুরহাট পাস ক্লাস পৌরসভার মেয়র কিন্তু আজকে সাধারণ পুলিশ অফিসার দিয়ে আমাকে অপমান করাচ্ছে। নানাভাবে লাঞ্ছিত করছে।
বুধবার (৩১ মার্চ) সকাল ১১টায় বসুরহাট বাজার পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আজকে কেন ওয়াজ বন্ধ করেছে। আপনারা এলাকার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হোন। কি জন্য ওয়াজ বন্ধ করেছে জবাব দিতে হবে। এখানে ওয়াজের সাথে যারা জড়িত ছিলেন। যে আপনাদের ওয়াজ বন্ধ করেছে। লিখিত লন। সেই লিখিতো প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাব, মন্ত্রীর কাছে পাঠাব। কেন তারা ওয়াজ বন্ধ করল। কীর্তনের দিন কীর্তন হলো, আমি সেখানে গেলাম। সেখানে অনেকক্ষণ ছিলাম। কিন্তু সেখানে বাধা দিল না। ওয়াজ কেন বন্ধ করল। শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এটা করেছে। এভাবে নানা ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত, প্রতিদিন।

কাদের মির্জা বলেন, এই (ইউএনও) ওসি, তদন্ত অফিসার ওবায়দুল কাদেরের সহযোগিতায় এখানে আছে। আজকে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য তারা এই কাজ করছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার বিচার একদিন কোম্পানীগঞ্জের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ একদিন করবে, আল্লাহ এক দিন করবে। আল্লার বিচার বড় বিচার। আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব আমার সাথে বেঈমানি করেছে না।

সেদিন তৌফিক এলাহী চৌধুরী হাজার হাজার মানুষের সামনে বেইজ্জতি করছে না। এটা আল্লাহ বিচার। মাইক কাই লই গেছে। ধাক্কায় দিছে, আল্লার বিচার শুরু হয়ে গেছে। এই (ইউএনও) ওসি, তদন্ত অফিসার একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য এদের বিচার আল্লাহ করবে, জনতার আদালতে হবে। কেন তারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করল। আমি এটার বিচার চাই। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাই। কেন ওয়াজ বন্ধ করা হল, এটার বিচার আমি চাই।