সংবাদ শিরোনাম ::
সেনবাগে শিশু হত্যা, মা’য়ের সাবেক স্বামী গ্রেপ্তার
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ০৫:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১ ১৫৭২ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নে মো. মিজানুর রহমান আশ্রাফুল (৬) এর ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সাথে হত্যাকান্ডে জড়িত নিহতের মা এর সাবেক স্বামী আলা উদ্দিন (৩০) ও তার সহযোগি আবদুল্লাহ হাসান আল মামুনকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নবনীতা গুহ আসামীদের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী রেকর্ড করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হচ্ছেন, সেনবাগ উপজেলার নজরপুর গ্রামের মমতাজ মিয়ার ছেলে আলা উদ্দিন ও একই গ্রামের নূর নবীর ছেলে আবদুল্যাহ হাসান আল মামুন।
জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল নানার বাড়ী থেকে নিখোঁজ মিজানুর রহমান আশ্রাফুলের লাশ গত ৫ এপ্রিল সোমবার রাতে নজরপুর গ্রামের তেলি পুকুর এলাকা থেকে মাটিতে ফুঁতে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে ক্লুলেস এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধার নেতৃত্বে অভিযানে নামে পুলিশ। অভিযানকালে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার আলা উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে নিজের অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে আলা উদ্দিন। এসময় হত্যাকান্ডে আবদুল্যা হাসান আল মামুন তাকে সহযোগিতা করেছে বলেও স্বীকার করে সে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার আসামী মামুনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে সে।
সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে নিহত শিশু আশ্রাফুলের মা বিবি হাজেরার সাথে আসামী আলা উদ্দিনের বিয়ে ও পরে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে এবং বিবি হাজেরার সাথে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আশ্রাফুলকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে মাটি চাপা দেয় আলা উদ্দিন ও মামুন। লাশ উদ্ধারের ১২ঘন্টার মধ্যে এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে মামলা নং ৪।