নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীতে একই পরিবারের ৫জনসহ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১১জন। নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল সরকারি মেডিকেল কলেজের পিসি ল্যাবের পরীক্ষায় এ ১১জন শনাক্ত হয়েছেন। এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: অসীম কুমার দাস জানান, উপজেলার পৌর হাজীপুরে একটি পরিবারের ৫জনসহ আরও ১০জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের বাড়ী লকডাউন ঘোষণা করে তাদের শারীরিক অবস্থা দেখে হোম আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হবে। বেগমগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪জন। যার মধ্যে একজন করোনা পরীক্ষার আগে মারা গেছেন এবং তিনজন করোনা মুক্ত হয়ে সুস্থ্য আছেন।
সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান বলেন, উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের (৫৬) বছর বয়সী এক ব্যক্তি অসুস্থতা বোধ করলে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নমুনা দিয়ে আসনে। সন্ধ্যায় তার করোনা শনাক্ত হয়। উনার ছেলেরা বিভিন্ন স্থানে চাকরি করেন বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে তাদের কারও সংস্পর্শে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়ী লকডাউন ঘোষণা করে পরিবারের সকলের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান বলেন, আজ (মঙ্গলবার) নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল সরকারি মেডিকেল কলেজের পিসি ল্যাবে বিকেলে ৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে ১১টি পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন জেলার সেনবাগ উপজেলার ও অপর দশজন বেগমগঞ্জ উপজেলার রয়েছে।
উল্লেখ্য, জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯জন। যার মধ্যে জেলার বেগমগঞ্জে ৩৪জন, সদরে ১০জন, সোনাইমুড়ীতে ১০জন, হাতিয়ায় ৫জন, সেনবাগে ২জন, কবিরহাটে ২জন, চাটখিলে ৫জন ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন সোনাইমুড়ীতে মোরশেদ আলম (৪৫) নামে এক ইতালি প্রবাসী, সেনবাগে এক রাজমেস্ত্রী মো. আক্কাস (৪৮) ও বেগমগঞ্জে তারেক হোসেন (৩০) নামের এক ব্যবসায়ী। জেলায় মোট করোনা মুক্ত হয়েছেন ৯জন।