ঢাকা ১১:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

থানার মূল ফটকে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি মামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১ ২২১৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দু’পক্ষের থানার মূল ফটকে সংঘর্ষের ঘটনার একদিন পর পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার দুই গ্রুপের সংঘাতের জেরে আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দুটি দায়ের করেন উপজেলা আ.লীগের অনুসারী যুবলীগ নেতা নুরুল আফছার আরমান চৌধুরী ও মির্জা অনুসারী ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি।

এই পাল্টাপাল্টি মামলায় আ.লীগের স্থানীয় ২৯৬ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা, হুমকি, ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলার আলোকে পুলিশ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

থানা সূত্রে জানা যায়, বিস্ফোরক আইনসহ আরো কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে কাদের মির্জার অনুসারী ইকবাল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেলকে প্রধান আসামি করে ১৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০-৫০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করে।

অপরটিতে, একই ধারায় উপজেলা আ.লীগের অনুসারী পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা নুরুল আফছার আরমান চৌধুরী বাদী হয়ে কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিককে (২৫), প্রধান আসামি ও তার ছোট শাহাদাত হোসেনকে (৫৫), দ্বিতীয় আসামি করে ১৬২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-২৫জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে মির্জা কাদের ও উপজেলা আ.লীগ অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে আ.লীগের নেতাকর্মীরা কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সেখান থেকে তারা পৌর ভবনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এর কিছুক্ষণ পর মেয়র কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক থানার সামনে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে দুই গ্রুপের ১৫জন অনুসারী আহত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

থানার মূল ফটকে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি মামলা

আপডেট সময় : ০২:৪৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দু’পক্ষের থানার মূল ফটকে সংঘর্ষের ঘটনার একদিন পর পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার দুই গ্রুপের সংঘাতের জেরে আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দুটি দায়ের করেন উপজেলা আ.লীগের অনুসারী যুবলীগ নেতা নুরুল আফছার আরমান চৌধুরী ও মির্জা অনুসারী ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি।

এই পাল্টাপাল্টি মামলায় আ.লীগের স্থানীয় ২৯৬ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা, হুমকি, ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলার আলোকে পুলিশ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

থানা সূত্রে জানা যায়, বিস্ফোরক আইনসহ আরো কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে কাদের মির্জার অনুসারী ইকবাল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেলকে প্রধান আসামি করে ১৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০-৫০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করে।

অপরটিতে, একই ধারায় উপজেলা আ.লীগের অনুসারী পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা নুরুল আফছার আরমান চৌধুরী বাদী হয়ে কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিককে (২৫), প্রধান আসামি ও তার ছোট শাহাদাত হোসেনকে (৫৫), দ্বিতীয় আসামি করে ১৬২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-২৫জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে মির্জা কাদের ও উপজেলা আ.লীগ অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে আ.লীগের নেতাকর্মীরা কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সেখান থেকে তারা পৌর ভবনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এর কিছুক্ষণ পর মেয়র কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক থানার সামনে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে দুই গ্রুপের ১৫জন অনুসারী আহত হয়।