নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল গাংচিলে অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে। ওই জনপদের অপরাধ দমনের লক্ষ্যে এ ফাঁড়ি স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার গাংচিল বাজারে এ পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়।
জানা গেছে, গত ৯মে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চরএলাহী ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোজাম্মেল মেম্বারের নেতৃত্বে স্থানীয় সন্ত্রাসী ইকবাল, মেহরাজ ও বেচু মাঝিসহ অন্তত ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী গাংচিল কিল্লার বাজার থেকে রাশেদ রানা নামের এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা হাসেম বাজারে নিয়ে প্রকাশ্যে রাশেদকে পিটিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। গত ১১মে সোমবার সন্ধ্যায় মোজাম্মেল মেম্বারের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা গাংচিল বাজারে এসে লোকজনের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা রাশেদ রানা হত্যা মামলার সাক্ষী রাজিবের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম।
আরও জানা গেছে, মোজাম্মেল মেম্বারের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী গত কয়েক বছর ধরে ৬জনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। অভিযোগ রয়েছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিজের চাচা উকিলাকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এই মোজাম্মেল মেম্বার। এছাড়াও চরের গরু, মহিষ লুট, ধর্ষণ, মাদক ও স্থানীয় লোকজনকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে যাচ্ছে মোজাম্মেল মেম্বার ও তার বাহিনী।
কোম্পানীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, ফাঁড়িটিতে ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন একজন এসআই। এছাড়াও দুই জন এএসআই ও সাত জন কনেস্টবল ফাঁড়িটিতে দায়িত্বে থাকবেন।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, যেহেতু চরএলাহী ইউনিয়নের গাংচিল এলাকায় সম্পতি একাধিক ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকাটি কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে প্রায় ৪০কিঃমি দূরে। গাংচিল এলাকায় যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা এবং ওই জনপদকে অপরাধ মুক্ত করার জন্য গাংচিল বাজারে অস্থায়ী ভিত্তিতে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে। এলাকাটির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফাঁড়িটি সরিয়ে নেওয়া হবে।