নোয়াখালী প্রতিনিধি:
ওয়াইফাই লাইন কেটে দেওয়ার প্রতিবাদ করায় নোয়াখালীর সেনবাগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুট পাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি সোমবার ইফতারের পূর্বে উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ছাতারপাইয়া পশ্চিম পাড়া ছায়দুল হক মিয়ার নতুন বাড়ীতে ঘটেছে। এসময় আল্লাহ মুনতাহা ষ্টোর নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ফয়েজ উল্ল্যা ও তার স্ত্রী ছেমনা খাতুন কে এলোপাতাড়ি পটিয়ে জখম করে বখাটেরা। স্থানিয় লোকজন রাতে তাদের উদ্ধার করে সেনবাগ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত ফয়েজ উল্ল্যা জানান, তিনি প্রবাস থেকে এসে অসুস্থ্য হয়ে যায়। চলার কোন পথ না দেখে রাস্তার পাশে বাড়ীতে ঘরের একটি রুমে আল্লাহ মুনতাহা ষ্টোর নামে একটি দোকন দিয়ে ব্যবসা করে আসছে। ঘটনার সময় ইফতারের পূর্বে তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় পাশ্ববর্তি আইয়ুব আলী মাষ্টার বাড়ীর আবুল কালামের ছেলে জহির উদ্দিন তার দোকানের ওয়াইফাই লাইনের সংযোগ টি কেটে দেয়ার সময় তিনি দেখে ফেলেন। সাথে সাথে তিনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এতে বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে আল্লাহ মুনতাহা ষ্টোরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর তচনছ করে ফেলে। মালামাল লুট করে নিয়ে যায় একই এলাকার আবুল কালামের ছেলে জহির উদ্দিন ও ফয়েজ আহম্মেদ, আবুল খায়েরের ছেলে ইয়াছিন।
এসময় প্রতিষ্ঠানের মালিক ফয়েজ উল্ল্যা তাদের কে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে বখাটেরা তার উপর হামলা করে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে এসময় স্বামীর আর্তচিৎকার শুনে অপর দিক থেকে এগিয়ে এসে স্ত্রী ছেমনা খাতুন এ দৃশ্য দেখে স্বামীকে বাঁচাতে চেষ্টা করে ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকেও একই স্টাইলে হামলা চালিয়ে জখম করে। স্বামী ও স্ত্রীর আর্তচিৎকার শুনে স্থানিয় লোকজন এগিয়ে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। তারা তাদের উদ্ধার করে সেনবাগ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনার অভিযুক্ত আবুল কালামের ছেলে জহির উদ্দিন তাদের কে প্রতিপক্ষ হামালা করেছে বলে জানান।
এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে বলে জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ফয়েজ উল্ল্যা।
এ ব্যাপারে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো আবদুল বাতেন মৃধা জানান, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ তিনি পায়নি, ফেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।