ঢাকা ০৫:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২টি মুজিব কিল্লার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১ ৪৯১৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশেষ প্রতিবেদক:

 

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের উপকূলীয় এলাকায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে জানমাল রক্ষার্থে নবনির্মিত দুটি মুজিব কিল্লার উদ্ভোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়্যালি যুক্ত হয়ে তিনি নবনির্মিত এ মুজিব কিল্লা দুটির
শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম ইবনুল হাসান ইভেনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশানর এবিএম আজাদ, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম খান, পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. জাফর উল্যাহ, সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম প্রমূখ। এ সময় একজন উপকার ভোগী বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, মুজিববর্ষের প্রতিশ্রুতি জোরদার করি দুর্যোগ প্রস্তুতি এই স্লোগানকে সামনে রেখে দুর্যোগ কবলিত পরিবার ও গৃহপালিত প্রাণী এবং মূল্যবান দ্রব্য সামগ্রী নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের চর দরবেশ গ্রামে দুই কোটি ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৭৭ টাকা ব্যয়ে ও চরওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামে এক কোটি ৫৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৭৪ টাকা ব্যয়ে ৮ হাজার বর্গমিটারের দুটি মুজিব কিল্লা নির্মাণ করা হয়েছে।


সাধারণ কৃষিজমি থেকে ১১ ফুট উঁচুতে পুরনো মাটির উপর নির্মিত ভবনে প্রথম ফ্লোরে ও ছাদে ৫০০ পরিবারের মানুষ একত্রে আশ্রয় নিতে পারবে। গবাদি পশুর জন্য ৫৫৮ বর্গমিটারে শেড রয়েছে, থাকছে বাথরুম সুবিধাসহ সুপেয় পানির ব্যবস্থা। এছাড়াও বিদ্যুৎ, সোলার সিস্টেম সুবিধা রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে এসব কিল্লায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, খেলার মাঠ ও হাট-বাজার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অল্প খরচে যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান করা যাবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে জানমাল রক্ষার্থে বেশ কিছু মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়। স্বাধীনতা–পরবর্তী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে কিল্লাগুলো নির্মিত হয়। সে সময় এগুলো ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিতি পায়। একপর্যায়ে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কিল্লাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু কিছু কিল্লা ও তার আশপাশের জমি বেদখল ও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২টি মুজিব কিল্লার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১

বিশেষ প্রতিবেদক:

 

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের উপকূলীয় এলাকায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে জানমাল রক্ষার্থে নবনির্মিত দুটি মুজিব কিল্লার উদ্ভোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়্যালি যুক্ত হয়ে তিনি নবনির্মিত এ মুজিব কিল্লা দুটির
শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম ইবনুল হাসান ইভেনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশানর এবিএম আজাদ, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম খান, পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. জাফর উল্যাহ, সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম প্রমূখ। এ সময় একজন উপকার ভোগী বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, মুজিববর্ষের প্রতিশ্রুতি জোরদার করি দুর্যোগ প্রস্তুতি এই স্লোগানকে সামনে রেখে দুর্যোগ কবলিত পরিবার ও গৃহপালিত প্রাণী এবং মূল্যবান দ্রব্য সামগ্রী নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের চর দরবেশ গ্রামে দুই কোটি ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৭৭ টাকা ব্যয়ে ও চরওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামে এক কোটি ৫৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৭৪ টাকা ব্যয়ে ৮ হাজার বর্গমিটারের দুটি মুজিব কিল্লা নির্মাণ করা হয়েছে।


সাধারণ কৃষিজমি থেকে ১১ ফুট উঁচুতে পুরনো মাটির উপর নির্মিত ভবনে প্রথম ফ্লোরে ও ছাদে ৫০০ পরিবারের মানুষ একত্রে আশ্রয় নিতে পারবে। গবাদি পশুর জন্য ৫৫৮ বর্গমিটারে শেড রয়েছে, থাকছে বাথরুম সুবিধাসহ সুপেয় পানির ব্যবস্থা। এছাড়াও বিদ্যুৎ, সোলার সিস্টেম সুবিধা রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে এসব কিল্লায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, খেলার মাঠ ও হাট-বাজার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অল্প খরচে যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান করা যাবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে জানমাল রক্ষার্থে বেশ কিছু মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়। স্বাধীনতা–পরবর্তী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে কিল্লাগুলো নির্মিত হয়। সে সময় এগুলো ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিতি পায়। একপর্যায়ে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কিল্লাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু কিছু কিল্লা ও তার আশপাশের জমি বেদখল ও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।