ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

সেনবাগে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, দাওয়া পাল্টা দাওয়া, আহত-১৭

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১ ২৮৬৫ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সেনবাগ, (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:

 

 

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এতে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ অন্তত ১৭জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তিন দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সেনবাগ থানার এ এসআই সমর বড়ুয়াসহ উভয় পক্ষের ১৭জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাতারপাইয়া বাজারের একটি মাদ্রাসার সামনে দাড়িয়ে এক ছাত্রীর সাথে কথা বলছিল মান্দারকান্দি গ্রামের শরুত ভূঁইয়া বাড়ীর সাগর নামের এক যুবক। এসময় পশ্চিম দক্ষিণ পাড়ার আজগর আলী বেপারী বাড়ীর ফাহিম নামের অন্য এক যুবক বিষয়টি দেখতে পেয়ে সাগরের সাথে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তাদের দুই জনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে বিষয়টি সমাধান করে দেয়। এ ঘটনায় বেলা ১১টা ও সাড়ে ১২টার দিকে ওই দুই যুবক লোকজন নিয়ে পুনরায় বাজারে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

পরবর্তীতে এ সংঘর্ষ দুই পাড়ার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে একে অন্যের ওপর হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। খবর পেয়ে সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৬ ও সংঘর্ষকারীদের ইটের আঘাতে এএসআই সমর বড়ুয়া আহত হয়। সাগর ও ফাহিম দুইজনই ওই ছাত্রীকে পছন্দ করে এমনটা ধারণা করছে স্থানীয় লোকজন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এক ছাত্রীর সাথে দুই ছেলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ওই ছাত্রীর সাথে কথা বলা নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

ওসি আবদুল বাতেন মৃধা আরো বলেন, এ ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছে। তবে তিনি দাবি করেন, কোন পুলিশ সদস্য আহত হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

সেনবাগে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, দাওয়া পাল্টা দাওয়া, আহত-১৭

আপডেট সময় : ০৬:৫২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

সেনবাগ, (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:

 

 

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এতে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ অন্তত ১৭জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তিন দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সেনবাগ থানার এ এসআই সমর বড়ুয়াসহ উভয় পক্ষের ১৭জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাতারপাইয়া বাজারের একটি মাদ্রাসার সামনে দাড়িয়ে এক ছাত্রীর সাথে কথা বলছিল মান্দারকান্দি গ্রামের শরুত ভূঁইয়া বাড়ীর সাগর নামের এক যুবক। এসময় পশ্চিম দক্ষিণ পাড়ার আজগর আলী বেপারী বাড়ীর ফাহিম নামের অন্য এক যুবক বিষয়টি দেখতে পেয়ে সাগরের সাথে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তাদের দুই জনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে বিষয়টি সমাধান করে দেয়। এ ঘটনায় বেলা ১১টা ও সাড়ে ১২টার দিকে ওই দুই যুবক লোকজন নিয়ে পুনরায় বাজারে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

পরবর্তীতে এ সংঘর্ষ দুই পাড়ার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে একে অন্যের ওপর হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। খবর পেয়ে সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৬ ও সংঘর্ষকারীদের ইটের আঘাতে এএসআই সমর বড়ুয়া আহত হয়। সাগর ও ফাহিম দুইজনই ওই ছাত্রীকে পছন্দ করে এমনটা ধারণা করছে স্থানীয় লোকজন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এক ছাত্রীর সাথে দুই ছেলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ওই ছাত্রীর সাথে কথা বলা নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

ওসি আবদুল বাতেন মৃধা আরো বলেন, এ ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছে। তবে তিনি দাবি করেন, কোন পুলিশ সদস্য আহত হয়নি।