নোয়াখালীল প্রতিবেদক:
নোয়াখালীর সেনবাগের ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো.হাবিবুর রহমানকে (২১) পূর্ব শক্রতার জের ধরে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় সন্ত্রাসীরা ছাত্রলীগ সভাপতির মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে, মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং তার সাথে থাকা আরিফকে (২২) নামে এক যুবককে মারধর করে।
গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের খলিল মিয়ারহাট বাজারে এই ঘটনা ঘটে। হাবিবুর রহমান মোহাম্মদপুর ইউপির দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের এমপি আবদুল রহমানের পুরাতন বাড়ির সৌদি প্রবাসী মো. ইয়াছিনের ছেলে।
আহত হাবিবুর রহমান জানায়, সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফিরোজ আলম রিগান উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন থেকে ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। আমি রিগানের পক্ষে ব্যানার ও পেষ্টুন লাগানোর জেরে একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হুদা হুদনের অনুসারীরা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। শুক্রবার রাত ৮টারদিকে আমি মোটরসাইকেল যোগে খলিল মিয়ারহাট বাজারের আল মদিনা হোটেলে নাস্তা করতে যাই।
ওই বাজারে মোটরসাইকেল পার্কিং করার সাথে সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হুদা হুদনের অনুসারী এমরান, শান্ত, দুলাল, টিপু, রতন ও ছরওয়ারের নেতৃত্ব ১০/১৫ জন অতর্কিত ভাবে আমাকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করলে লোকজন চলে যায়। পরে সন্ত্রাসীরা আমার চোখ বেঁধে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটক করে রাখে। পরে খবর পেয়ে বীজবাগ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সুজন ও আওয়ামীলীগ নেতা জিয়াউল হক জিয়া আমাকে দাগনভূঁইয়ার পিয়ারহাট এলাকা থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে চেযারম্যান প্রার্থী নুরুল হুদা হুদন বলেন, এ ধরণের কোন ঘটনার সঙ্গে তিনি বা তার কোন অনুসারী জড়িত নয়। তিনি দাবী করেন সন্ত্রাসীরা শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে তার বাড়িতে হামলা করে।
সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আবদুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিজেদের মধ্যে অন্তকোন্দলের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।