চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিবেদক:
এক কিশোরেকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের নাটক সাজিয়ে ছবি তুলে ফেঁসে গেলেন নোয়াখালীর চাটখিলের ৩ কিশোর। গত (২৮ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ২নং রামনারায়নপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামের ধোয়া বাড়ির বাগানে এই ঘটনা ঘটে।
শনিবার (২৯ মে) দুপুর ২টার দিকে আটককৃত প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, পুলিশ মৌখিক অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে মামলার প্রধান আসাসী মো. মিরাজ হোসেনকে (১৮) আটক করে। সে উপজেলার ২নং রামনারায়নপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামের মিনহাজী পাটোয়ারী বাড়ির আবুল বাসারের ছেলে এবং পেশায় একজন সিএনজি চালক।
মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত (২৭ মে) দুপুর পৌনে ২টার দিকে পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিরাজের মা মিনু আক্তারের (৩৭) সাথে তার ননদ আমেনা বেগমের (৩৬) সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিরাজের সাথে তার ছোট কাকা ইব্রাহীমের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় বাড়ির অন্যান্য লোকজন এসে দুই পক্ষকে নিবৃত করে। তখন চাচা ইব্রাহীম মিরাজকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর মিরাজ এই হুমিককে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে চাচাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে গত (২৮ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মো.রাফি (১৯) ও মো.জিহাদের (১৮) যোগসাজশে মিরাজ তাকে পার্শ্ববর্তী ধোয়া বাড়ীর বাগানের সুপারি গাছের সাথে পিছনের দিকে দুই হাত রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের নাটক সাজায়। তারপর নির্যাতনে সাজানো ছবি তুলে চাচাদেরকে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে একাধিক ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট দেয়। পরে এ ঘটনায় তার বড় চাচা ইসমাইল হোসেন (৩৫) বাদী হয়ে তার ভাতিজা মো.মিরাজ হোসেনকে প্রধান আসামী করে তিন জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মিথ্যা ও সাজানো ঘটনার ছবি ধারণ করে চাচাদেরকে ফাঁসানের চেষ্টা করে মিরাজ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। পুলিশ ফেইসবুকে ছবি দেখে তাৎক্ষণিক বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ঘটনাটি সাজানো নাটক ছিল। সাথে সাথে পুলিশ অভিযুক্ত প্রধান আসামীকে আটক করে। ভুক্তভোগী পরিবার শনিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলে প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।