নিজেস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী:
২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে আরও ৯৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট ৪০৩টি নমুনা পরীক্ষা করে এ ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে করোনা আক্রান্তের হার ২৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। অপরদিকে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় নোয়াখালী পৌরসভা এবং সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে চলমান বিশেষ লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ৯ হাজার ৪৭৩জন। মোট আক্রান্তের হার ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৫ জন। এতে আক্রান্তের হার ১০ দশমিক ৩৫ ও মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩২ ভাগ।
শুক্রবার (১১ জুন) সকালে নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নোয়াখালী সদরে ৫৪জন, সুবর্ণচরে ১জন, হাতিয়া ১জন, বেগমগঞ্জ ২০জন, সোনাইমুড়ি ৫জন, চাটখিল ১জন, সেনবাগ ৪জন, কোম্পানীগঞ্জ ৪জন, কবিরহাট ৬জন।
আক্রান্তদের মধ্যে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ২৩১৬জন। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে (শহীদ ভুলু ষ্টেডিয়াম) ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪৭জন। আইসোলেশনে আছে ১০জন।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীতে করোনার প্রকোপ না কমায় গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় ৬ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন।
আগামী ১৮ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর থাকবে। একই সঙ্গে আগের সব বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। জানা যায়, লকডাউনকে আরো কার্যকর করতে বন্ধ থাকবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচল। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে নোয়াখালীতে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে। ৩ জুন সর্বোচ্চ শনাক্তের হার ছিল ৩৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৫-১১ জুন এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরও ৮৭ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ০১ শতাংশ। আক্রান্ত লোকজনের বেশির ভাগই সদর উপজেলার বাসিন্দা।