নোয়াখালী প্রতিবেদক:
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে দ্বিতীয় দফায় নোয়াখালীতে কঠোর লকডাউন চলছে। প্রশাসনের তৎপরতায় গত কয়েকদিনের তুলনায় শহরের প্রধান সড়কে অভ্যন্তরিণ গাড়ী ও লোকজনের উপস্থিতি অনেকটা কমেছে।
শনিবার ভোর ৬টা থেকে দ্বিতীয় দফার লকডাউন শুরু হয়েছে। এ লকডাউন চলবে আগামী ১৮জুন রাত ১২টা পর্যন্ত। এরআগে গত ৫জুন থেকে ১১জুন পর্যন্ত ৭দিনের বিশেষ লকডাউন চলে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে। ওই সাতদিনে ঢিলেঢালা লকডাউন চলায় সংক্রমণ আরও বেড়ে যায়। তাই গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার করোনায় নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির বৈঠকে আরও ৭দিন বাড়ানো হয় লকডাউন।
শনিবার সকালে জেলা শহর মাইজদী ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েকদিনের তুলনায় শহরের মূল সড়ক অনেকটা ফাঁকা রয়েছে। তবে শহরের বাইরে সড়কগুলোতে সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। লকডাউনকৃত এলাকাগুলোর বিভিন্ন বাজারে দোকান-পাট খোলা রয়েছে। সকাল থেকে শহর থেকে দুরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি।
এদিকে, মানুষেকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসন ও নোয়াখালী পৌরসভার পক্ষ থেকে সচেতনতা মূলক মাইকিং করা হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে। বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে পুলিশের চেক পোস্ট। লকডাউন এলাকাগুলোতে কাজ করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ৪জুন শুক্রবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রন ও প্রতিরোধ কমিটির জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদরের ৬টি ইউনিয়ন এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এ বিশেষ লকডাউন ৫ জুন ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে ১১জুন রাত ১২টায় শেষ হয়।