ঢাকা ০৫:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

নোয়াখালী প্রেসক্লাবের অভিভাবক কে?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অগাস্ট ২০২১ ৮৭১৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
স্টাফ রিপোর্টার :
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে কোন কর্মসূচি পালিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সদস্য ও ভোরের কাগজ নোয়াখালী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোহেল।
রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনি তাঁর ফেসবুকে লিখেন “আজ ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস।”
এই দিনে সমগ্র জাতি যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করলেও ১৯৭২ সালের ২৩ জুন গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত নোয়াখালী প্রেসক্লাবে শোক দিবসের কোন কর্মসূচি পালিত হয়েছে বলে জেলায় কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের জানা নেই। এই দায় কার?
নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি/সম্পাদকের নামের তালিকায় দেখা গেছে, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের বর্তমান আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি কি পারতেন না সাংবাদিকদের নিয়ে প্রেসক্লাবে শোক দিবসের একটি কর্মসূচি আয়োজন করতে? তার দোষ দিয়েই বা লাভ কি? তিনি জেলায় শোক দিবসের শত কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, থাকাটাই স্বাভাবিক। এ জেলায় কর্মরত অনেক সিনিয়র সাংবাদিক সভাপতি/ সম্পাদকের পদ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তারাও ইচ্ছে করলে একটি কর্মসূচির আয়োজন করতে পারতেন। আজ নোয়াখালী প্রেসক্লাবের নির্বাচিত নেতৃত্ব থাকলে ঠিকই শোক দিবসের আয়োজন হতো বলে আমি বিশ্বাস করি।
আমরা নিজেদের ঘর নিয়ে চিন্তিত নয়! অথচ জেলায় আগত অথবা বিদায়ী সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে আমাদের কতই না ব্যস্ততা দেখা যায়। পরিশেষে জেলার সিনিয়র সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে দয়া করে পেশাদার সাংবাদিকদের নিয়ে নিজেদের ঘর নোয়াখালী প্রেসক্লাবকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করুন।
১৫ আগস্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের নিহত সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। – আল্লাহ হাফেজ
সাংবাদিক সোহেলের ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন নোয়াখালীর জেলা সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবদুল্যাহ আল মামুন। তিনি বলেন, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানে শোক দিবসে কোন কর্মসূচি না হওয়া দুঃখজনক। নোয়াখালী প্রেসক্লাবের কমিটি জটিলতার কারণেই এ সমস্যাগুলো হচ্ছে। আশা করছি অচিরেই জেলায় কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের নিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

নোয়াখালী প্রেসক্লাবের অভিভাবক কে?

আপডেট সময় : ০৬:৫২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অগাস্ট ২০২১
স্টাফ রিপোর্টার :
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে কোন কর্মসূচি পালিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সদস্য ও ভোরের কাগজ নোয়াখালী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোহেল।
রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনি তাঁর ফেসবুকে লিখেন “আজ ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস।”
এই দিনে সমগ্র জাতি যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করলেও ১৯৭২ সালের ২৩ জুন গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত নোয়াখালী প্রেসক্লাবে শোক দিবসের কোন কর্মসূচি পালিত হয়েছে বলে জেলায় কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের জানা নেই। এই দায় কার?
নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি/সম্পাদকের নামের তালিকায় দেখা গেছে, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের বর্তমান আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি কি পারতেন না সাংবাদিকদের নিয়ে প্রেসক্লাবে শোক দিবসের একটি কর্মসূচি আয়োজন করতে? তার দোষ দিয়েই বা লাভ কি? তিনি জেলায় শোক দিবসের শত কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, থাকাটাই স্বাভাবিক। এ জেলায় কর্মরত অনেক সিনিয়র সাংবাদিক সভাপতি/ সম্পাদকের পদ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তারাও ইচ্ছে করলে একটি কর্মসূচির আয়োজন করতে পারতেন। আজ নোয়াখালী প্রেসক্লাবের নির্বাচিত নেতৃত্ব থাকলে ঠিকই শোক দিবসের আয়োজন হতো বলে আমি বিশ্বাস করি।
আমরা নিজেদের ঘর নিয়ে চিন্তিত নয়! অথচ জেলায় আগত অথবা বিদায়ী সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে আমাদের কতই না ব্যস্ততা দেখা যায়। পরিশেষে জেলার সিনিয়র সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে দয়া করে পেশাদার সাংবাদিকদের নিয়ে নিজেদের ঘর নোয়াখালী প্রেসক্লাবকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করুন।
১৫ আগস্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের নিহত সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। – আল্লাহ হাফেজ
সাংবাদিক সোহেলের ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন নোয়াখালীর জেলা সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবদুল্যাহ আল মামুন। তিনি বলেন, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানে শোক দিবসে কোন কর্মসূচি না হওয়া দুঃখজনক। নোয়াখালী প্রেসক্লাবের কমিটি জটিলতার কারণেই এ সমস্যাগুলো হচ্ছে। আশা করছি অচিরেই জেলায় কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের নিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।