এনকে বার্তা ডেস্ক::
লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে।
আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেকই এ অঞ্চলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিলের বাসিন্দা। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ( ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫১১ জন)।
লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ পেরুতে মোট আক্রান্ত হয়েছে ৮৮ হাজার ৫৪১ জন এবং মারা গেছে ২ হাজার ৫২৩ জন।
এছাড়া ম্যাক্সিকোতে আক্রান্ত ৪৭ হাজার ১৪৪ জন এবং মৃত্যু ৫ হাজার ৪৫; চিলিতে আক্রান্ত ৪১ হাজার ৪২৮ এবং মৃত্যু ৪২১ জন; ইকুয়েডরে আক্রান্ত ৩২ হাজার ৭৬৩ এবং মৃত্যু ২ হাজার ৬৮৮; ডোমেনিকায় আক্রান্ত ১২ হাজার ১১০ জন এবং মৃত্যু ৪২৮; পানামায় আক্রান্ত ৯ হাজার ৪৪৯ জন এবং মৃত্যু ২৬৯ জন।
তবে লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশ যেমন-আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, হুন্ডুরাস, গুয়েতেমালা, এল সালভাদরে আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম, ৭ হাজার থেকে ২ হাজারের মধ্যে।
তবে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এএফপি বলছে, সরকারি সূত্র এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত এই হিসাবের সঙ্গে প্রকৃত আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার ব্যাপক ব্যবধান রয়েছে। টেস্টের সংখ্যা ও হাসপাতালে মৃত্যুর হিসাবের বাইরেও বহু আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা রয়েছে। অনেক দেশেই টেস্টের সংখ্যা আক্রান্তের তুলনায় অতি নগণ্য। এক্ষেত্রে ব্রাজিলের কথা উল্লেখ করা যায়।
দেশটিতে মাত্র সাড়ে সাত লাখের মতো টেস্ট করিয়ে ২ লাখ ৩৩ হাজার কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৩২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে।
লাতিন আমেরিকার তুলনায় ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে করোনা সংক্রমণের হার খুবই কম। যেমন ওই অঞ্চলের দেশ বারবোডাসে আক্রান্ত হয়েছে মাত্র ৮৬ জন। এদের মধ্যে মারা গেছে সাতজন। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই অঞ্চলে সংকমণ কম হলেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার অশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। কেননা এসব অঞ্চলের বেশিরভাগ দেশই দরিদ্র ও ঘরবসতিপূর্ণ। ফলে সেখানে দ্রুত মহমারি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ লাখ ছাড়িয়েছে এবং ৩ লাখ ১৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছে আরও ১৮ লাখের বেশি মানুষ।
সূত্র: ওয়ার্ল্ডোমিটার/এএফপি