ঢাকা ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

ইভ্যালির ৩৬ হিসাবে লেনদেন ৩৮৯৮ কোটি টাকা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১ ৫৪৭২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অনলাইন ডেস্ক

দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ৩৬ হিসাবে মোট ৩ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ লেনদেন হয় বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) উচ্চ আদালতে দাখিল করা বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইভ্যালির চেয়ারম্যান, এমডি এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ১৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৬৭টি হিসাবের আনুষাঙ্গিক দলিলাদি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। হিসাবগুলোতে লেনদেনের বিবরণী থেকে দেখা যায় যে, ইভ্যালি ডটকম লিমিটেড ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে প্রাপ্ত ৩৬টি হিসাবে (সঞ্চয়ী, চলতি) মোট ৩ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। তার মধ্যে জমা প্রায় ১ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা ও উত্তোলন হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা। এসব হিসাবে ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত স্থিতির পরিমাণ ২.১৩ কোটি টাকা।

এর মধ্যে আরও ১০টি হিসাব শনাক্ত হওয়ায় চলতি বছরের ১০ আগস্ট সিআইডির কাছে ৭৭টি হিসাবের তথ্য পাঠানো হয়েছে। কার কার নামে কখন এসব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে ।

এ বিষয়ে পৃথক তিনটি রিটের বিপরীতে প্রতিবেদন দাখিলের পর আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এর আগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কী পদক্ষেপ নিয়েছে, ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে এনবিআরের পলিসি কী এবং ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটির কার্যপরিধি কী তাও জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব, মোহাম্মদ শিশির মনির ও আনোয়ারুল ইসলাম বাধন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

গত ২০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্সের গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ইভ্যালির ৩৬ হিসাবে লেনদেন ৩৮৯৮ কোটি টাকা

আপডেট সময় : ১১:০২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

অনলাইন ডেস্ক

দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ৩৬ হিসাবে মোট ৩ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ লেনদেন হয় বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) উচ্চ আদালতে দাখিল করা বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইভ্যালির চেয়ারম্যান, এমডি এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ১৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৬৭টি হিসাবের আনুষাঙ্গিক দলিলাদি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। হিসাবগুলোতে লেনদেনের বিবরণী থেকে দেখা যায় যে, ইভ্যালি ডটকম লিমিটেড ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে প্রাপ্ত ৩৬টি হিসাবে (সঞ্চয়ী, চলতি) মোট ৩ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। তার মধ্যে জমা প্রায় ১ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা ও উত্তোলন হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা। এসব হিসাবে ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত স্থিতির পরিমাণ ২.১৩ কোটি টাকা।

এর মধ্যে আরও ১০টি হিসাব শনাক্ত হওয়ায় চলতি বছরের ১০ আগস্ট সিআইডির কাছে ৭৭টি হিসাবের তথ্য পাঠানো হয়েছে। কার কার নামে কখন এসব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে ।

এ বিষয়ে পৃথক তিনটি রিটের বিপরীতে প্রতিবেদন দাখিলের পর আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এর আগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কী পদক্ষেপ নিয়েছে, ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে এনবিআরের পলিসি কী এবং ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটির কার্যপরিধি কী তাও জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব, মোহাম্মদ শিশির মনির ও আনোয়ারুল ইসলাম বাধন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

গত ২০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্সের গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম।