ঢাকা ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

চরম আকার ধারণ করতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০ ২৭৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এনকে বার্তা ডেস্ক::

 

বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সোমবার (১৮ মে) ভোরেই ভারতের মৌসম ভবন জানিয়েছে, ভোরের দিকে বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে পৌঁছেছে ভয়ঙ্কর এ ঘূর্ণিঝড়।

মৌসম ভবনের আপডেট অনুযায়ী, ভোরে ঝড়টি অবস্থান করছিল ওডিশঅর পারাদ্বীপ থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দূরে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চরম আকার ধারণ করবে বলেও জানানো হয়।

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবিলায় উপকূলের সুন্দরবন এলাকায় জোরদার প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসন। সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকার বিধায়ক, বিডিও, পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতিতে যাতে কোনও ফাঁকফোকর না থাকে সে ব্যাপারে উপকূলের জেলাগুলির কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছে নবান্ন।

একইসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন রাজ্যের শীর্ষ কর্তারা। সেখানেও ‘আম্ফান’ মোকাবিলায় সবধরনের প্রস্তুতি সেরে রাখছে রাজ্য প্রশাসন।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, সাগর, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি, রায়দিঘি-সহ একাধিক এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় ফ্লাড সেন্টারগুলিতে বাসিন্দাদের রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও এলাকার স্কুল, কলেজগুলিতেও যাতে দুর্যোগ নামার আগেই বাসিন্দাদের সরিয়ে ফেলা যায় সে ব্যাপারে জোরদার তৎপরতা চলছে।

একইভাবে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বসিরহাটে তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে প্রশাসনের তরফে চলছে সতর্কতামূলক প্রচার।

অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমণি, শংকরপুর-সহ সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। দুর্যোগ এলে বাসিন্দাদের সরানোর জায়গা তৈরি রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে। পঞ্চায়েতগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রয়োজন হলেই মানুষজনকে ফ্লাড সেন্টারে এনে রাখা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

চরম আকার ধারণ করতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’

আপডেট সময় : ০৪:৩৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০

এনকে বার্তা ডেস্ক::

 

বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সোমবার (১৮ মে) ভোরেই ভারতের মৌসম ভবন জানিয়েছে, ভোরের দিকে বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে পৌঁছেছে ভয়ঙ্কর এ ঘূর্ণিঝড়।

মৌসম ভবনের আপডেট অনুযায়ী, ভোরে ঝড়টি অবস্থান করছিল ওডিশঅর পারাদ্বীপ থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দূরে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চরম আকার ধারণ করবে বলেও জানানো হয়।

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবিলায় উপকূলের সুন্দরবন এলাকায় জোরদার প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসন। সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকার বিধায়ক, বিডিও, পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতিতে যাতে কোনও ফাঁকফোকর না থাকে সে ব্যাপারে উপকূলের জেলাগুলির কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছে নবান্ন।

একইসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন রাজ্যের শীর্ষ কর্তারা। সেখানেও ‘আম্ফান’ মোকাবিলায় সবধরনের প্রস্তুতি সেরে রাখছে রাজ্য প্রশাসন।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, সাগর, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি, রায়দিঘি-সহ একাধিক এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় ফ্লাড সেন্টারগুলিতে বাসিন্দাদের রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও এলাকার স্কুল, কলেজগুলিতেও যাতে দুর্যোগ নামার আগেই বাসিন্দাদের সরিয়ে ফেলা যায় সে ব্যাপারে জোরদার তৎপরতা চলছে।

একইভাবে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বসিরহাটে তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে প্রশাসনের তরফে চলছে সতর্কতামূলক প্রচার।

অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমণি, শংকরপুর-সহ সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। দুর্যোগ এলে বাসিন্দাদের সরানোর জায়গা তৈরি রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে। পঞ্চায়েতগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রয়োজন হলেই মানুষজনকে ফ্লাড সেন্টারে এনে রাখা হবে।