ঢাকা ০৫:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের অনেক সাফল্য: বিশ্বব্যাংক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১ ৪৫০২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) এর মধ্যেও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে অনেক সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো করছে ও কোভিড মোকাবিলা করে তাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রবিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে অর্থমন্ত্রী, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আলোচনায় অংশ নেন।

অপরদিকে, বিশ্বব্যাংকের পক্ষে হার্টউইগ শ্যেফার, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন, বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) যৌবিদা খেরুস আলাউয়া, সেশিলে ফ্রুমান, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সংযুক্তি ও সহযোগিতাবিষয়ক কর্মকর্তা আলোচনায় অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে হার্টউইগ শ্যেফার প্রকল্প ডিজাইন, প্রসেসিং, অনুমোদন ও বাস্তবায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে আরও গতিশীলতা আনার সুপারিশ করেন। তিনি এ লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ও বিশ্বব্যাংকের সমন্বয়ে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে সভায় প্রস্তাব পেশ করেন।

সভার শুরুতে অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফারকে বাংলাদেশ সফরের জন্য ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সভায় অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতিধারা তুলে ধরেন।

এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ভিত যথেষ্ট মজবুত রয়েছে এবং করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে এমন অর্থনৈতিক সক্ষমতা ধরে রাখা বিরল।

বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ’র বার্ষিক সভা ২০২১-এ অর্থমন্ত্রী ঢাকাকে অধিকতর নান্দনিক শহরের পাশাপাশি যোগাযোগ সহজীকরণের লক্ষে একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রজেক্ট গ্রহণে আহ্বান জানিয়েছিলেন। সে প্রকল্পের অগ্রগতি জানতে চাইলে হার্টউইগ শ্যেফার বলেন, প্রকল্পের আশানুরূপ অগ্রগতি রয়েছে এবং অচিরেই এ বিষয়ে সুখবর পাওয়া যাবে।

চলমান করোনা অতিমারীর কারণে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমবাজার, আর্থিক ও সামাজিকখাত সচল রাখার লক্ষ‌্যে বর্তমান ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের প্রোগ্রামেটিক রিকভারি অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ডেভেলপমেন্ট পলিসি (ডিপিসি) প্রকল্পের আওতায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সাপোর্ট হিসাবে দ্রুত ছাড়করণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ডিপিসি’র জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলীর অধিকাংশই ইতোমধ্যে পূরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট শর্তাবলীও শিগগির পূরণ করা সম্ভব হবে বলে অর্থসচিব সভায় অবহিত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের অনেক সাফল্য: বিশ্বব্যাংক

আপডেট সময় : ১১:২৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১

মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) এর মধ্যেও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে অনেক সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো করছে ও কোভিড মোকাবিলা করে তাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রবিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে অর্থমন্ত্রী, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আলোচনায় অংশ নেন।

অপরদিকে, বিশ্বব্যাংকের পক্ষে হার্টউইগ শ্যেফার, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন, বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) যৌবিদা খেরুস আলাউয়া, সেশিলে ফ্রুমান, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সংযুক্তি ও সহযোগিতাবিষয়ক কর্মকর্তা আলোচনায় অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে হার্টউইগ শ্যেফার প্রকল্প ডিজাইন, প্রসেসিং, অনুমোদন ও বাস্তবায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে আরও গতিশীলতা আনার সুপারিশ করেন। তিনি এ লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ও বিশ্বব্যাংকের সমন্বয়ে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে সভায় প্রস্তাব পেশ করেন।

সভার শুরুতে অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফারকে বাংলাদেশ সফরের জন্য ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সভায় অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতিধারা তুলে ধরেন।

এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ভিত যথেষ্ট মজবুত রয়েছে এবং করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে এমন অর্থনৈতিক সক্ষমতা ধরে রাখা বিরল।

বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ’র বার্ষিক সভা ২০২১-এ অর্থমন্ত্রী ঢাকাকে অধিকতর নান্দনিক শহরের পাশাপাশি যোগাযোগ সহজীকরণের লক্ষে একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রজেক্ট গ্রহণে আহ্বান জানিয়েছিলেন। সে প্রকল্পের অগ্রগতি জানতে চাইলে হার্টউইগ শ্যেফার বলেন, প্রকল্পের আশানুরূপ অগ্রগতি রয়েছে এবং অচিরেই এ বিষয়ে সুখবর পাওয়া যাবে।

চলমান করোনা অতিমারীর কারণে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমবাজার, আর্থিক ও সামাজিকখাত সচল রাখার লক্ষ‌্যে বর্তমান ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের প্রোগ্রামেটিক রিকভারি অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ডেভেলপমেন্ট পলিসি (ডিপিসি) প্রকল্পের আওতায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সাপোর্ট হিসাবে দ্রুত ছাড়করণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ডিপিসি’র জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলীর অধিকাংশই ইতোমধ্যে পূরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট শর্তাবলীও শিগগির পূরণ করা সম্ভব হবে বলে অর্থসচিব সভায় অবহিত করেন।