ঢাকা ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল গঠনের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০ ২৯১ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এনকে বার্তা ডেস্ক::

নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক খাতের আমদানি অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য সরকারকে সেদেশের ক্রেতাদের জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠনের অনুরোধ করেছেন তিনি। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ও কমনওয়েলথ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমেদের ফোনে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ অনুরোধ করেন।

আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

টেলিফোনে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, তৈরি পোশাক খাতে ‍যুক্তরাজ্যের ক্রেতারা প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিত করেছে। ফলে এ সেক্টরে কর্মরত প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যে জীবিকা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। এ তহবিল বাংলাদেশে এ খাতে কর্মরত শ্রমিকদের পরিবারদের জন্য সহায়ক হবে।

করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে কমনওয়েলথের কার্যকর ভূমিকা রাখার বিষয়ও তাদের আলোচনায় স্থান পায়। লর্ড আহমেদ করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। বৈশ্বিক সমস্যা করোনা বিষয়ক সমস্যা সমাধানে উভয় প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে একত্রে কাজ করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

এ সময় মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন তার প্রশংসা করলেন যুক্তরাজ্যের এ প্রতিমন্ত্রী।

যুক্তরাজ্যকে জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যুটির উপস্থাপক দেশ হিসেবে উল্লেখ করে লর্ড আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত নৃশংস ঘটনার ন্যায়বিচার ও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্যের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে ।

মিয়ানমারের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থাশীল হিসেবে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন। উভয় প্রতিমন্ত্রী কাছে ভবিষ্যতে আবার দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনার জন্য আশা প্রকাশ করেন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল গঠনের

আপডেট সময় : ০৫:০১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০

এনকে বার্তা ডেস্ক::

নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক খাতের আমদানি অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য সরকারকে সেদেশের ক্রেতাদের জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠনের অনুরোধ করেছেন তিনি। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ও কমনওয়েলথ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমেদের ফোনে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ অনুরোধ করেন।

আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

টেলিফোনে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, তৈরি পোশাক খাতে ‍যুক্তরাজ্যের ক্রেতারা প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিত করেছে। ফলে এ সেক্টরে কর্মরত প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যে জীবিকা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। এ তহবিল বাংলাদেশে এ খাতে কর্মরত শ্রমিকদের পরিবারদের জন্য সহায়ক হবে।

করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে কমনওয়েলথের কার্যকর ভূমিকা রাখার বিষয়ও তাদের আলোচনায় স্থান পায়। লর্ড আহমেদ করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। বৈশ্বিক সমস্যা করোনা বিষয়ক সমস্যা সমাধানে উভয় প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে একত্রে কাজ করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

এ সময় মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন তার প্রশংসা করলেন যুক্তরাজ্যের এ প্রতিমন্ত্রী।

যুক্তরাজ্যকে জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যুটির উপস্থাপক দেশ হিসেবে উল্লেখ করে লর্ড আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত নৃশংস ঘটনার ন্যায়বিচার ও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্যের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে ।

মিয়ানমারের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থাশীল হিসেবে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন। উভয় প্রতিমন্ত্রী কাছে ভবিষ্যতে আবার দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনার জন্য আশা প্রকাশ করেন