ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কার্যক্রমে সহযোগিতার অভিযোগে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান, অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা করেন। এই মামলার অন্যতম আসামি তাহসান খান বর্তমানে বেশ কয়েকটি কনসার্টে অংশ নিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই একটি জাতীয় দৈনিককে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। ক্ষুব্ধ তাহসান জানান, ‘যাদের নাম দেখে ইভ্যালিতে যুক্ত হয়েছিলাম, তাদের নাম বলতে পারব না। তাদের নাম বললে তো বাংলাদেশেই থাকতে পারব না।’
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান শুক্রবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে হওয়া মামলায় অভিনেতা ও গায়ক তাহসান খান, অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ ৯ আসামিকে যে কোনো সময় গ্রেফতার করা হতে পারে।
এ খবরের প্রতিক্রিয়ায় ইভ্যালি প্রসঙ্গে তাহসান বলেন, ‘যে কোম্পানির সঙ্গে দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান যুক্ত, দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত, সেখানে আমি শুভেচ্ছাদূত হয়ে মাত্র দুটি ফেসবুক লাইভ করেছি। আমি কিন্তু বিজ্ঞাপনও করিনি। আর আমি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করলে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের করতেই পারি। কারণ, তখন তো লিগ্যাল কোম্পানি। আমি আবারও বলছি, আমাকে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, আপনারা কেন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন না? তারা আরও তিনটা নাম বলেছে, যা আমি আপনাকে বলতে পারব না, তাহলে হয়তো আমি বাংলাদেশেই থাকতে পারব না। আমি তো কোনো বিশেষজ্ঞ না যে বুঝে ফেলব, এই কোম্পানি ঋণখেলাপি হবে। ’
আতঙ্কিত কণ্ঠে তাহসান আরো বলেন, ‘যাদের নাম শুনে ইভ্যালিতে যোগ দিয়েছিলাম তারা এতটাই প্রভাবশালী যে তাদের নাম বলা সম্ভব নয়। তারা অসম্ভব ক্ষমতাধর মানুষ। আমি একজন সংস্কৃতিকর্মী। আমার কোনো ক্ষমতা নেই। আমি বেশি কিছু বলতে পারব না। মামলা যেহেতু হয়েছে, এখন আমাকে আমার মতো আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’