ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

উত্তরাঞ্চলে শুরু হয়েছে শীতের দাপট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ ২০৩৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঋতু পরিক্রমায় আগামীকাল থেকে শুরু হবে শীতকাল । তবে গত দুই মাস পূর্বে হেমন্তের শুরুতেই পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছিল শীতের আমেজ। উত্তরের এই শীত প্রবন জেলা পঞ্চগড়ে বুধবার সকালে তাপমাত্রা এক অঙ্কে নেমে এসেছে। শুরু হয়েছে শীতের দাপট। গত ১৬ দিনে এখানে ১৫ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে তেতুঁলিয়ায়, তাপমাত্রা ৯ থেকে ১১ ডিগ্রীতে উঠানামা করছে এই জেলায়।

বুধবার সকাল ছয়টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি এবং সকাল নয়টায় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। গতকাল এই জেলায় তাপমাত্রা বিরাজ করছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত দশদিন ধরে ২৬ থেকে ২৮ ডিগ্রীর ঘরে রয়েছে। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রী।

সরেজমিনে দেখা যায় ভোরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারদিক। তখন কুয়াশার কারনে হেডলাইট চলছে যানবাহন। সকাল নয়টা পর্যন্ত শীত নিবারনের জন্য আগুন পোহাতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের । কুয়াশার সাথে ঠান্ডা বাতাস শীতের তিব্রতা বাড়িয়ে দেয়। সূর্য উঠলেই ধীরে ধীরে কুয়াশা কেটে যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঝলমলে কুয়াশামিশ্রিত রোদ উঠলেও উত্তাপ ছড়ায় না। এতে শীতের পোশাক ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যায়না। ভর দুপুরে শীতের পোষাক মুড়িয়ে চলাফেরা করতে হয় পঞ্চগড়ে।

বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের তিব্রতা বেড়ে যায় কিন্ত বিকেল গড়াতেই তাপমাত্রা কমে গিয়ে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায় শুরু হয় শীতের তিব্রতা । রাতভর থাকে শীতের তীব্রতা। রাতে কনকনে বাতাসের সাথে প্রচন্ড শীত অনুভুত হচ্ছে পঞ্চগড়ে। আবার ভোররাত থেকে শুরু হয় কুয়াশা। নি¤œ আয়ের মানুষের দূর্ভোগও দিন দিন বাড়ছে ।

বুধবার সকালে ধাক্কামারা এলাকার অটো ভ্যান চালক আব্দুর রহিম জানান গত কয়েকদিন থেকে প্রচন্ড শীত ঠান্ডা বাতাসে আমরা কাবু হয়ে যাচ্ছি । সকালে লোকজন কমে গেছে এজন্য আমাদের রোজগার কম। তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেনী আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ডিসেম্বরের শেষ দিকে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম জানান পঞ্চগড় একটি শীত প্রবন জেলা । তবে শীত মোকাবেলার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রতিদিন রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় আমি নিজেই শীত বস্ত্র বিতরন করছি। পাঁচটি উপজেলার ইউএনও এবং জনপ্রতিনিধিদের মাঝে শীতার্তদের কাছে শীতবস্ত্র পৌছে দেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

উত্তরাঞ্চলে শুরু হয়েছে শীতের দাপট

আপডেট সময় : ১১:১৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১

ঋতু পরিক্রমায় আগামীকাল থেকে শুরু হবে শীতকাল । তবে গত দুই মাস পূর্বে হেমন্তের শুরুতেই পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছিল শীতের আমেজ। উত্তরের এই শীত প্রবন জেলা পঞ্চগড়ে বুধবার সকালে তাপমাত্রা এক অঙ্কে নেমে এসেছে। শুরু হয়েছে শীতের দাপট। গত ১৬ দিনে এখানে ১৫ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে তেতুঁলিয়ায়, তাপমাত্রা ৯ থেকে ১১ ডিগ্রীতে উঠানামা করছে এই জেলায়।

বুধবার সকাল ছয়টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি এবং সকাল নয়টায় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। গতকাল এই জেলায় তাপমাত্রা বিরাজ করছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত দশদিন ধরে ২৬ থেকে ২৮ ডিগ্রীর ঘরে রয়েছে। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রী।

সরেজমিনে দেখা যায় ভোরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারদিক। তখন কুয়াশার কারনে হেডলাইট চলছে যানবাহন। সকাল নয়টা পর্যন্ত শীত নিবারনের জন্য আগুন পোহাতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের । কুয়াশার সাথে ঠান্ডা বাতাস শীতের তিব্রতা বাড়িয়ে দেয়। সূর্য উঠলেই ধীরে ধীরে কুয়াশা কেটে যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঝলমলে কুয়াশামিশ্রিত রোদ উঠলেও উত্তাপ ছড়ায় না। এতে শীতের পোশাক ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যায়না। ভর দুপুরে শীতের পোষাক মুড়িয়ে চলাফেরা করতে হয় পঞ্চগড়ে।

বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের তিব্রতা বেড়ে যায় কিন্ত বিকেল গড়াতেই তাপমাত্রা কমে গিয়ে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায় শুরু হয় শীতের তিব্রতা । রাতভর থাকে শীতের তীব্রতা। রাতে কনকনে বাতাসের সাথে প্রচন্ড শীত অনুভুত হচ্ছে পঞ্চগড়ে। আবার ভোররাত থেকে শুরু হয় কুয়াশা। নি¤œ আয়ের মানুষের দূর্ভোগও দিন দিন বাড়ছে ।

বুধবার সকালে ধাক্কামারা এলাকার অটো ভ্যান চালক আব্দুর রহিম জানান গত কয়েকদিন থেকে প্রচন্ড শীত ঠান্ডা বাতাসে আমরা কাবু হয়ে যাচ্ছি । সকালে লোকজন কমে গেছে এজন্য আমাদের রোজগার কম। তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেনী আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ডিসেম্বরের শেষ দিকে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম জানান পঞ্চগড় একটি শীত প্রবন জেলা । তবে শীত মোকাবেলার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রতিদিন রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় আমি নিজেই শীত বস্ত্র বিতরন করছি। পাঁচটি উপজেলার ইউএনও এবং জনপ্রতিনিধিদের মাঝে শীতার্তদের কাছে শীতবস্ত্র পৌছে দেওয়া হচ্ছে।