ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

করোনা সংক্রমণ রোধে ১১ দফা বিধিনিষেধ শুধু কাগজে-কলমে !

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২ ৪৯২৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনা সংক্রমণ রোধে আজ থেকে দেশে আবারও শুরু হয়েছে ১১ দফা বিধিনিষেধ। তবে বেশিরভাগ নির্দেশনাই মানতে দেখা যায়নি রাজধানীতে। হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা বলছেন, টিকা সনদ তদারকি কে করবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না নির্দেশনা। এদিকে, শনিবার থেকে গণপরিবহণে অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহণ করা হবে। সে অনুসারে আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে রেলওয়ে।

করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা থাকলেও রাজধানীর দোকান, শপিংমল ও বাজারসহ কোথাও তা কঠোরভাবে মানা হচ্ছে না। রাজধানীর কাঁচাবাজারের এক দোকানি বলেন, টিকা কার্ড বাসায় আছে সঙ্গে রাখিনি। যদি বলে সঙ্গে রাখতে সমস্যা কী, গলায় ঝুলিয়ে রাখব। এক ক্রেতা জানান, মাস্ক ব্যবহার করতে হবে জানি, মানিও। তবে আজকে সঙ্গে নিয়ে আসিনি।

হোটেল-রেস্তোরাঁয় বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরাসহ, করোনা টিকা সনদ ছাড়া রেস্তোরাঁয় প্রবেশ নিষেধ হলেও তা বাস্তবায়ন করা যায়নি রাজধানীতে।

এক হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, আমরা আসলে বিভ্রান্ত এ বিষয়ে। কীভাবে টিকা কার্ড দেখব? কাস্টোমারের কাছে থাকবে কি-না। দেখা যাবে কাউকেই পাওয়া যাবে না। প্রায় লোকের কাছেই থাকবে না কার্ড।

এক রেস্তোরাঁ মালিক বলেন, কাস্টমারদের আমরা বলছি টিকা কার্ড সঙ্গে রাখতে, মাস্ক পরতে। মানা না মানা তাদের ব্যাপার।

এদিকে, এর মধ্যেই অর্ধেক টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। অগ্রীম টিকিটের জটিলতা থাকায় শনিবার থেকে বিধিনিষেধ কার্যকর হবে ট্রেনে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, অর্ধেক টিকিট অনলাইনে আর বাকি অর্ধেক কাউন্টারে বিক্রি শুরু হয়েছে।

টিকিট নিতে আসা এক ট্রেনযাত্রী বলেন, হঠাৎ করেই ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে গেছে। এটার জন্য যাত্রী সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য সুুবিধা। ভিড় যেহেতু কমবে সেহেতু আমরা স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা পাব।

তবে বিপরীত চিত্র বাসে। আজ থেকেই বাস টার্মিনালগুলোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করাসহ নানা প্রস্তুতির নির্দেশনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বাসচালক ও হেলপারদের করোনা টিকার সনদপত্র রাখার নির্দেশনাও পালন হচ্ছে না। বাস সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, তারাও আগামী শনিবার থেকে বিধিনিষেধ কার্যকর করবে।

এক বাসচালক বলেন, একটা টিকা দিয়েছি। কাগজ বাসায়। ভাড়া যদি না বাড়ে তেলের দাম তো বেশি। আমরা তো সেটা পোষাতে পারবো না।

এক বাসযাত্রী বলেন, অর্ধেক আসনে বসলেও পরিবহণ সংকট তো দেখা যাবে। এটা তো সব যাত্রীরা মানবে না।

করোনা সংক্রমণ রোধে ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি না দেয়ার নির্দেশনাও রয়েছে সরকারের।

এক অভিভাবক বলেন, ভ্যাক্সিনের ডোজ কমপ্লিট না হলে স্কুলে ঢোকা যাবে না। প্রত্যেকটা লোককেই এই নির্দেশনা মেনে চলা উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

করোনা সংক্রমণ রোধে ১১ দফা বিধিনিষেধ শুধু কাগজে-কলমে !

আপডেট সময় : ০৫:৩১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২

করোনা সংক্রমণ রোধে আজ থেকে দেশে আবারও শুরু হয়েছে ১১ দফা বিধিনিষেধ। তবে বেশিরভাগ নির্দেশনাই মানতে দেখা যায়নি রাজধানীতে। হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা বলছেন, টিকা সনদ তদারকি কে করবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না নির্দেশনা। এদিকে, শনিবার থেকে গণপরিবহণে অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহণ করা হবে। সে অনুসারে আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে রেলওয়ে।

করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা থাকলেও রাজধানীর দোকান, শপিংমল ও বাজারসহ কোথাও তা কঠোরভাবে মানা হচ্ছে না। রাজধানীর কাঁচাবাজারের এক দোকানি বলেন, টিকা কার্ড বাসায় আছে সঙ্গে রাখিনি। যদি বলে সঙ্গে রাখতে সমস্যা কী, গলায় ঝুলিয়ে রাখব। এক ক্রেতা জানান, মাস্ক ব্যবহার করতে হবে জানি, মানিও। তবে আজকে সঙ্গে নিয়ে আসিনি।

হোটেল-রেস্তোরাঁয় বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরাসহ, করোনা টিকা সনদ ছাড়া রেস্তোরাঁয় প্রবেশ নিষেধ হলেও তা বাস্তবায়ন করা যায়নি রাজধানীতে।

এক হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, আমরা আসলে বিভ্রান্ত এ বিষয়ে। কীভাবে টিকা কার্ড দেখব? কাস্টোমারের কাছে থাকবে কি-না। দেখা যাবে কাউকেই পাওয়া যাবে না। প্রায় লোকের কাছেই থাকবে না কার্ড।

এক রেস্তোরাঁ মালিক বলেন, কাস্টমারদের আমরা বলছি টিকা কার্ড সঙ্গে রাখতে, মাস্ক পরতে। মানা না মানা তাদের ব্যাপার।

এদিকে, এর মধ্যেই অর্ধেক টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। অগ্রীম টিকিটের জটিলতা থাকায় শনিবার থেকে বিধিনিষেধ কার্যকর হবে ট্রেনে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, অর্ধেক টিকিট অনলাইনে আর বাকি অর্ধেক কাউন্টারে বিক্রি শুরু হয়েছে।

টিকিট নিতে আসা এক ট্রেনযাত্রী বলেন, হঠাৎ করেই ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে গেছে। এটার জন্য যাত্রী সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য সুুবিধা। ভিড় যেহেতু কমবে সেহেতু আমরা স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা পাব।

তবে বিপরীত চিত্র বাসে। আজ থেকেই বাস টার্মিনালগুলোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করাসহ নানা প্রস্তুতির নির্দেশনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বাসচালক ও হেলপারদের করোনা টিকার সনদপত্র রাখার নির্দেশনাও পালন হচ্ছে না। বাস সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, তারাও আগামী শনিবার থেকে বিধিনিষেধ কার্যকর করবে।

এক বাসচালক বলেন, একটা টিকা দিয়েছি। কাগজ বাসায়। ভাড়া যদি না বাড়ে তেলের দাম তো বেশি। আমরা তো সেটা পোষাতে পারবো না।

এক বাসযাত্রী বলেন, অর্ধেক আসনে বসলেও পরিবহণ সংকট তো দেখা যাবে। এটা তো সব যাত্রীরা মানবে না।

করোনা সংক্রমণ রোধে ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি না দেয়ার নির্দেশনাও রয়েছে সরকারের।

এক অভিভাবক বলেন, ভ্যাক্সিনের ডোজ কমপ্লিট না হলে স্কুলে ঢোকা যাবে না। প্রত্যেকটা লোককেই এই নির্দেশনা মেনে চলা উচিত।