ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

করোনা সংক্রমণের হলুদ জোনে নোয়াখালী, আরও ১০ জেলাকে সংক্রমণের রেড জোন ঘোষণা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২ ৬১৯৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা ও রাঙামাটির পর আরও ১০ জেলাকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেড জোন বা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে ৩২ জেলা। আর গ্রিন বা সবুজ জোনে রয়েছে ১৬ জেলা।

গত এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সাত দিনে দেশজুড়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৪০৫ জন, যা পূর্ববর্তী সাত দিনের (৩ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি) চেয়ে ২৩ হাজার ৯৩১ জন বেশি। এই সময়ে শতাংশ হিসেবে শনাক্ত বেড়েছে ২২৮ দশমিক ৪৮।

করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এক সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের, যা পূর্ববর্তী সপ্তাহের (৩ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি) চেয়ে ৩৭ জন বেশি। এই সময়ে শতাংশ হিসেবে মৃত্যু বেড়েছে ১৮৫ শতাংশ।

করোনা সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে নতুন করে ১০টি লাল তালিকাভুক্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জেলাগুলোয় সংক্রমণের হার অন্তত ১০ শতাংশ।

লাল তালিকাভুক্ত জেলাগুলো হলো- গাজীপুর, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, বগুড়া, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, লালমনরিহাট, খাগড়াছড়ি ও পঞ্চগড়। আগের দুটি ঢাকা ও রাঙামাটি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার ২৮ দশমিক ১১ শতাংশ। রাঙ্গামাটিতে করোনা সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ।

এ ছাড়া গাজীপুর করোনা সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৪৯, রাজশাহী ১৪.৭৪ শতাংশ, যশোর ১১ দশমিক ২১ শতাংশ, কুষ্টিয়া ১১.৩৮ শতাংশ, বগুড়া ১১.৮৪ শতাংশ, দিনাজপুর ১১.২৬ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৮ দশমিক ৪৮, লালমনরিহাটে ১০ দশমিক ৭১, খাগড়াছড়ি ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ ও পঞ্চগড় ১০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে থাকা ৩২ জেলার শনাক্তের হার অন্তত ৫ শতাংশ।

জেলাগুলো হলো সিলেট, ফেনী, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, নওগাঁ, ঝিনাইদহ, নাটোর, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, মাগুরা, নড়াইল, পটুয়াখালী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, শেরপুর, ঝালকাঠি ও ঠাকুরগাঁও।

এ ছাড়া এখনো করোনা থেকে ঝুঁকিমুক্ত আছে ১৬ জেলা। এ জেলাগুলোয় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে।

ঝুঁকিমুক্ত জেলাগুলো হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, ভোলা, নেত্রকোনা, গাইবান্ধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বরগুনা, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী ও মেহেরপুর।

গত বছর করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করে জোনভিত্তিক লকডাউন করার পরিকল্পনা করেছিল সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

করোনা সংক্রমণের হলুদ জোনে নোয়াখালী, আরও ১০ জেলাকে সংক্রমণের রেড জোন ঘোষণা

আপডেট সময় : ০১:৩২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২

ঢাকা ও রাঙামাটির পর আরও ১০ জেলাকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেড জোন বা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে ৩২ জেলা। আর গ্রিন বা সবুজ জোনে রয়েছে ১৬ জেলা।

গত এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সাত দিনে দেশজুড়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৪০৫ জন, যা পূর্ববর্তী সাত দিনের (৩ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি) চেয়ে ২৩ হাজার ৯৩১ জন বেশি। এই সময়ে শতাংশ হিসেবে শনাক্ত বেড়েছে ২২৮ দশমিক ৪৮।

করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এক সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের, যা পূর্ববর্তী সপ্তাহের (৩ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি) চেয়ে ৩৭ জন বেশি। এই সময়ে শতাংশ হিসেবে মৃত্যু বেড়েছে ১৮৫ শতাংশ।

করোনা সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে নতুন করে ১০টি লাল তালিকাভুক্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জেলাগুলোয় সংক্রমণের হার অন্তত ১০ শতাংশ।

লাল তালিকাভুক্ত জেলাগুলো হলো- গাজীপুর, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, বগুড়া, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, লালমনরিহাট, খাগড়াছড়ি ও পঞ্চগড়। আগের দুটি ঢাকা ও রাঙামাটি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার ২৮ দশমিক ১১ শতাংশ। রাঙ্গামাটিতে করোনা সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ।

এ ছাড়া গাজীপুর করোনা সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৪৯, রাজশাহী ১৪.৭৪ শতাংশ, যশোর ১১ দশমিক ২১ শতাংশ, কুষ্টিয়া ১১.৩৮ শতাংশ, বগুড়া ১১.৮৪ শতাংশ, দিনাজপুর ১১.২৬ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৮ দশমিক ৪৮, লালমনরিহাটে ১০ দশমিক ৭১, খাগড়াছড়ি ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ ও পঞ্চগড় ১০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে থাকা ৩২ জেলার শনাক্তের হার অন্তত ৫ শতাংশ।

জেলাগুলো হলো সিলেট, ফেনী, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, নওগাঁ, ঝিনাইদহ, নাটোর, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, মাগুরা, নড়াইল, পটুয়াখালী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, শেরপুর, ঝালকাঠি ও ঠাকুরগাঁও।

এ ছাড়া এখনো করোনা থেকে ঝুঁকিমুক্ত আছে ১৬ জেলা। এ জেলাগুলোয় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে।

ঝুঁকিমুক্ত জেলাগুলো হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, ভোলা, নেত্রকোনা, গাইবান্ধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বরগুনা, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী ও মেহেরপুর।

গত বছর করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করে জোনভিত্তিক লকডাউন করার পরিকল্পনা করেছিল সরকার।