ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

মানব সেবায় ঝুঁকি নিয়ে মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৩:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মে ২০২০ ৩৪২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
জেলা প্রতিনিধি
বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করা প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে ও জেলাবাসীকে সচেতন করতে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশের সদস্যরা।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে জেলার ৯টি উপজেলায় পুলিশের ১৪টি ইউনিটে ১হাজার ৪শ ৮জন সদস্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। জনগনের স্বাস্থ্য বিধি, সুরক্ষা নিশ্চিত ও সামাজিক দূর্রত্ব বজায় রাখতে বিশেষ প্রচারণা এবং বিভিন্ন কর্মসূচী চালাচ্ছে পুলিশ। জেলায় লকডাউন কার্যকর করতে টহলের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থায়ী ও অস্থায়ী ১৫টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। করোনায় আক্রান্তদের জরুরি সেবা দিতে প্রতিটি থানায় তৈরি করা হয়েছে পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম। আক্রান্তদের বাড়ী লকডাউন ও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে জেলা ও স্বাস্থ্য প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাজারগুলোতে জনগনের সামাজিক দূর্রত্ব নিশ্চিত করতে পুলিশের তত্ত্বাবধানে উন্মুক্তস্থানে হাটগুলো স্থানান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও করোনাকালে বিপাকে পড়া গরিব, দিনমজুর, নি¤œ আয়ের শ্রমজীবী, হিজড়া সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধী ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কথা চিন্তা করে তাদের পাশে এসে দাড়িঁয়েছেন পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। এসব মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার। সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন অসহায় মুক্তিযোদ্ধা, কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যাওয়া পুলিশ সদস্য, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও প্রবাসী পরিবারে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ও পুলিশ সদস্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, পুলিশ লাইন্স, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার ও ট্রাফিকসহ প্রতিটি থানায় কর্মরত পুলিশের  সকল সদস্যদের মাঝে পিপিই, হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক, হ্যান্ড সানিটাইজার, হেড ও আই প্রটেক্টর বিতরণকরা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা হয়েছে পুষ্টিকর খাবার। বিভিন্ন ইউনিটে প্রদান করা হয়েছে প্রণোদনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মানব সেবায় ঝুঁকি নিয়ে মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

আপডেট সময় : ০৯:৩৩:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মে ২০২০
জেলা প্রতিনিধি
বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করা প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে ও জেলাবাসীকে সচেতন করতে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশের সদস্যরা।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে জেলার ৯টি উপজেলায় পুলিশের ১৪টি ইউনিটে ১হাজার ৪শ ৮জন সদস্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। জনগনের স্বাস্থ্য বিধি, সুরক্ষা নিশ্চিত ও সামাজিক দূর্রত্ব বজায় রাখতে বিশেষ প্রচারণা এবং বিভিন্ন কর্মসূচী চালাচ্ছে পুলিশ। জেলায় লকডাউন কার্যকর করতে টহলের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থায়ী ও অস্থায়ী ১৫টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। করোনায় আক্রান্তদের জরুরি সেবা দিতে প্রতিটি থানায় তৈরি করা হয়েছে পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম। আক্রান্তদের বাড়ী লকডাউন ও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে জেলা ও স্বাস্থ্য প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাজারগুলোতে জনগনের সামাজিক দূর্রত্ব নিশ্চিত করতে পুলিশের তত্ত্বাবধানে উন্মুক্তস্থানে হাটগুলো স্থানান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও করোনাকালে বিপাকে পড়া গরিব, দিনমজুর, নি¤œ আয়ের শ্রমজীবী, হিজড়া সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধী ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কথা চিন্তা করে তাদের পাশে এসে দাড়িঁয়েছেন পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। এসব মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার। সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন অসহায় মুক্তিযোদ্ধা, কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যাওয়া পুলিশ সদস্য, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও প্রবাসী পরিবারে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ও পুলিশ সদস্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, পুলিশ লাইন্স, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার ও ট্রাফিকসহ প্রতিটি থানায় কর্মরত পুলিশের  সকল সদস্যদের মাঝে পিপিই, হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক, হ্যান্ড সানিটাইজার, হেড ও আই প্রটেক্টর বিতরণকরা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা হয়েছে পুষ্টিকর খাবার। বিভিন্ন ইউনিটে প্রদান করা হয়েছে প্রণোদনা।