ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

করোনার নতুন ধরন ‘নিওকোভ’ আরও বেশি মারাত্মক!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২ ৮৭৯৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের প্রাদুর্ভাব চলছে। এরই মধ্যে আরও একটি নতুন ধরন শনাক্ত করেছেন চীনা গবেষকরা। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিওকোভ’।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের নতুন ওই ধরন শনাক্ত করেছেন উহানের গবেষকরা। দলটির ভাষ্য অনুযায়ী, ‘নিওকোভ’ ধরনটি এখন পর্যন্ত মানুষকে আক্রান্ত করেনি।

তারা বলছেন, আপাতত এ ভাইরাস দক্ষিণ আফ্রিকায় বাদুড়ের শরীরে ছড়ালেও ভবিষ্যতে তা মানুষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, নিওকোভ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, ২০১২ সালে সৌদি আরবে শনাক্ত হওয়া ভাইরাস মার্সের (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) সঙ্গে নতুন ধরনটি খুব সংশ্লিষ্ট। এটি মার্স কভের মতোই প্রাণঘাতী (প্রতি তিনজনে একজনের মৃত্যু) এবং বর্তমান করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ধরনের মতো উচ্চ সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন হতে পারে। চীনা গবেষকেরা আরও আশঙ্কা করেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য বিদ্যমান অ্যান্টিবডি দিয়ে নিওকোভকে ঠেকানো যাবে না।
গবেষণা প্রতিবেদনটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়নি। বায়োআরজিভ ওয়েবসাইটে এর পাণ্ডুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।
রুশ বার্তা সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে নিওকোভ নিয়ে ডব্লিউএইচওর বক্তব্যকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। শুক্রবার সংস্থাটি বলেছে, গবেষণায় ভাইরাসের যে ধরন শনাক্ত হয়েছে, এটি মানবশরীরের জন্য হুমকি তৈরি করবে কিনা, তা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
তথ্যসূত্র : এনডিটিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

করোনার নতুন ধরন ‘নিওকোভ’ আরও বেশি মারাত্মক!

আপডেট সময় : ১২:৩৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের প্রাদুর্ভাব চলছে। এরই মধ্যে আরও একটি নতুন ধরন শনাক্ত করেছেন চীনা গবেষকরা। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিওকোভ’।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের নতুন ওই ধরন শনাক্ত করেছেন উহানের গবেষকরা। দলটির ভাষ্য অনুযায়ী, ‘নিওকোভ’ ধরনটি এখন পর্যন্ত মানুষকে আক্রান্ত করেনি।

তারা বলছেন, আপাতত এ ভাইরাস দক্ষিণ আফ্রিকায় বাদুড়ের শরীরে ছড়ালেও ভবিষ্যতে তা মানুষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, নিওকোভ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, ২০১২ সালে সৌদি আরবে শনাক্ত হওয়া ভাইরাস মার্সের (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) সঙ্গে নতুন ধরনটি খুব সংশ্লিষ্ট। এটি মার্স কভের মতোই প্রাণঘাতী (প্রতি তিনজনে একজনের মৃত্যু) এবং বর্তমান করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ধরনের মতো উচ্চ সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন হতে পারে। চীনা গবেষকেরা আরও আশঙ্কা করেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য বিদ্যমান অ্যান্টিবডি দিয়ে নিওকোভকে ঠেকানো যাবে না।
গবেষণা প্রতিবেদনটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়নি। বায়োআরজিভ ওয়েবসাইটে এর পাণ্ডুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।
রুশ বার্তা সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে নিওকোভ নিয়ে ডব্লিউএইচওর বক্তব্যকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। শুক্রবার সংস্থাটি বলেছে, গবেষণায় ভাইরাসের যে ধরন শনাক্ত হয়েছে, এটি মানবশরীরের জন্য হুমকি তৈরি করবে কিনা, তা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
তথ্যসূত্র : এনডিটিভি