রাজকীয় ভাবে বিদায়ী সংবর্ধনা পেলো দুর্গাপুর হাই স্কুলের তিন গুণীশিক্ষক
- আপডেট সময় : ০৭:৫৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ ২০৪ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় অবসর জনিত তিন গুণী শিক্ষককে রাজকীয় ভাবে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নস্থ দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক ছাত্র ছাত্রীদের আয়োজনে বিদ্যালয়ের হল রুমে এই সংবর্ধনাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিদায় নেওয়া শিক্ষকরা হলেন, অত্র বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক ওয়াহেদ উল্যা ভূঁইয়া, সহকারি শিক্ষক আবদুল মালেক ও আরেক সহকারি শিক্ষক আবু তাহের।
দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক গোবিন্দ চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবেদ সাইফুল কালাম, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাক উদ্দিন হাফেজ, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সমাজ সেবা মন্ত্রণালয়ের ঢাকা জেলার আইসিটি ইনচার্জ গোলাম সারওয়ার মঞ্জু চৌধুরী, প্রাক্তন ছাত্র সৌদি আরব প্রবাসী ও দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ এর সৌদি আরব প্রতিনিধি শাহজাহান সোহাগ সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অশ্রুসিক্ত কন্ঠে স্কুল শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, যাদের হাত ধরে আজ আমরা কেউ শিক্ষা গ্রহন করে বিভিন্ন যায়গায় চাকরি করতেছি, আবার কেউ বর্তমানে বিভিন্ন স্কুল কলেজে লেখাপড়া করে নিজেদের জীবন গড়ানোর স্বপ্ন দেখতেছি। প্রিয় বিদায়ী শিক্ষকগণ আপনাদের হাতের ছোয়ায় এই বিদ্যালয় যেই ভাবে সুসংগঠিত হয়েছে সেটা ভুলার মতনা। আমরা আপনাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
বিদায় নেওয়া শিক্ষকগণ বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় ধরে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলাম, দ্বায়িত্ব পালন কালে যদি কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকি আপনারা সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ছাত্র ছাত্রীদে উদ্দেশ্যে আরো বলেন, তোমাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে অনেক সময় বেত্রাঘাত সহ অনেক ধরনের শ্বাসন করছি, তোমরা আমাদের প্রতি কোন কষ্ট আমাদের জন্য দোয়া করবা, আমরাও চেষ্টা করবো এই বিদ্যালয়ের সাথে জীবনের শেষ পর্যন্ত শিক্ষাদানের বাহিরেও জড়িত থাকবো।
অতিথিদের বক্তব্যে বক্তারা বলেন, অবসর জনিত কারণে এই স্কুলের তিনজন গুণী শিক্ষকদের আজকে আমরা বিদায় দিতে হচ্ছে, যদিও বিদায় দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে তবুও বিদায় দিতেই হবে, এটাই হচ্ছে চাকুরী জীবনের নিয়ম। যারা আজ বিদায় নিচ্ছেন আপনারা বিদ্যালয়ের যদি সিস্টেমের কারণে নিতে হচ্ছে আসা করবো মৃত্যু পর্যন্ত বিদ্যালয়ের সকর কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখবেন এবং সর্বপ্রকার সহযোগিতা করবেন।