ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা School student murdered in trivial incident: Police unravel mystery নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল ছাত্র খুন: রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের ইতালি মার্কেটে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিজ এলাকায় হামলার শিকার এনসিপি নেতা হান্নান মাসুদ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত-১৫

হাতিয়ায় ঘাট দখল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

হাতিয়া প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর বিচ্চিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে লঞ্চ ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিএনপির দু’গ্রপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে তমরদ্দি লঞ্চঘাটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোষ্টগার্ড দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

আহতরা হলেন লায়লা বেগম, কামরুল ইসলাম, আকলিমা বেগম, নাফিসা বেগমসহ প্রায় দশজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক লায়লা বেগমকে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত ডাক্তার চিকিৎসার জন্য জেলা সদরে প্রেরণ করেন।

জানা যায়, তমরুদ্দি লঞ্চ ঘাটের ইজারাদার ছিলেন গোলাম মাওলা কাজল। ৫ আগষ্টের পর উপজেলা বিএনপি নেতা আলমগীর তার নেতৃত্বে তমরদ্দি ঘাটের সকল কর্মকান্ড দখল করে নেন। পরবর্তীতে ইজারাদার ও আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম মাওলা কাজলের সাথে বিএনপি নেতা আলমগীর একটা সমঝোতা করে নেয়। সেই থেকে আলমগীর ঘাটের দায়িত্ব এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। কিন্তু তমরুদ্দি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি তানভীর হায়দার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঘাটটি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে করছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে তানভীরের অনুসারীরা ঘাটের দখল নিতে দলবল নিয়ে ঘাটে যায়। এ সময় তানভীরের লোকদেরকে আলমগীরের লোকজন ধাওয়া করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। ঘাটের পাশে থাকা শ্রমিকদের পরিবারের নারী পুরুষ সকলে এগিয়ে আসলে সংঘর্ষে নারীরাও জড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে উপজেলা সদর থেকে পুলিশ, নৌবাহিনী ও তমরদ্দি কোস্টগার্ড লঞ্চঘাটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

এ বিষয় বিএনপি নেতা আলমগীর জানান, ঘাটের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেয়। তবে তিনি জানান প্রতিদিনের ঘাট থেকে উপার্জনের ৪২ পারসেন্ট টাকা ইজারাদার গোলাম মাওলা কাজল নিয়ে যান।

যোগাযোগ করা হলে প্রতিপক্ষ তানভীর হায়দার কথা না বলে ফোনের লাইন কেটে দেন। তবে এর আগে তিনি কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানান, আলমগীরের নানা অপকর্মের দায়ে বিএনপি থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। ঘাট সে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগ নেতার সাথে সমঝোতা করে ভোগ দখল করে আসছেন। ঘাট দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান।

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম জানান, তমরদ্দি ঘাট নিয়ে দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুজন আহত হয়ে বলে শুনেছি। পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

হাতিয়ায় ঘাট দখল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নোয়াখালীর বিচ্চিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে লঞ্চ ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিএনপির দু’গ্রপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে তমরদ্দি লঞ্চঘাটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোষ্টগার্ড দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

আহতরা হলেন লায়লা বেগম, কামরুল ইসলাম, আকলিমা বেগম, নাফিসা বেগমসহ প্রায় দশজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক লায়লা বেগমকে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত ডাক্তার চিকিৎসার জন্য জেলা সদরে প্রেরণ করেন।

জানা যায়, তমরুদ্দি লঞ্চ ঘাটের ইজারাদার ছিলেন গোলাম মাওলা কাজল। ৫ আগষ্টের পর উপজেলা বিএনপি নেতা আলমগীর তার নেতৃত্বে তমরদ্দি ঘাটের সকল কর্মকান্ড দখল করে নেন। পরবর্তীতে ইজারাদার ও আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম মাওলা কাজলের সাথে বিএনপি নেতা আলমগীর একটা সমঝোতা করে নেয়। সেই থেকে আলমগীর ঘাটের দায়িত্ব এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। কিন্তু তমরুদ্দি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি তানভীর হায়দার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঘাটটি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে করছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে তানভীরের অনুসারীরা ঘাটের দখল নিতে দলবল নিয়ে ঘাটে যায়। এ সময় তানভীরের লোকদেরকে আলমগীরের লোকজন ধাওয়া করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। ঘাটের পাশে থাকা শ্রমিকদের পরিবারের নারী পুরুষ সকলে এগিয়ে আসলে সংঘর্ষে নারীরাও জড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে উপজেলা সদর থেকে পুলিশ, নৌবাহিনী ও তমরদ্দি কোস্টগার্ড লঞ্চঘাটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

এ বিষয় বিএনপি নেতা আলমগীর জানান, ঘাটের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেয়। তবে তিনি জানান প্রতিদিনের ঘাট থেকে উপার্জনের ৪২ পারসেন্ট টাকা ইজারাদার গোলাম মাওলা কাজল নিয়ে যান।

যোগাযোগ করা হলে প্রতিপক্ষ তানভীর হায়দার কথা না বলে ফোনের লাইন কেটে দেন। তবে এর আগে তিনি কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানান, আলমগীরের নানা অপকর্মের দায়ে বিএনপি থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। ঘাট সে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগ নেতার সাথে সমঝোতা করে ভোগ দখল করে আসছেন। ঘাট দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান।

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম জানান, তমরদ্দি ঘাট নিয়ে দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুজন আহত হয়ে বলে শুনেছি। পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।