সংবাদ শিরোনাম ::

গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪জন দগ্ধ

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৭:২২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫ ৮৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসতঘরে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের নারী-শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তবে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যারা তাৎক্ষণিক বিস্ফোরণের সুনির্দিষ্ট কোন কারণ জানাতে পারেনি।

আরো পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ফ্রিজ মিস্ত্রির মৃত্যু

বুধবার (১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসবার ৮নম্বর ওয়ার্ডের মর্ডাণ রোডের রাহাত মঞ্জিলের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় দগ্ধ ঐর্দিকাকে উদ্ধার করে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন : রাতে মাছ শিকারে গিয়ে বজ্রপাতে দিনমজুরের মৃত্যু

দগ্ধরা চারজন হলেন ফ্ল্যাটের ভাড়াটে কুমোদ চন্দ্র নাথ (৪৩) তার স্ত্রী সবিতা রানী নাথ (৩২), মেয়ে ঐর্দিকা (৮) ও ছেলে তূর্য (৪)।

আরো পড়ুন : নোয়াখালীতে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন সভা

কুমোদ চন্দ্র নাথ বলেন, সন্ধ্যার দিকে আমিসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ওই সময় হঠাৎ ঘরের মধ্যে বিকট শব্দ হয়। একপর্যায়ে দেখি ঘরের বিভিন্ন কক্ষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে আমি,আমার স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ চারজন দগ্ধ হই। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমার মেয়ে ঐর্দিকাকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় ফ্ল্যাটের আসবাবসহ বেশ কিছু মালামাল পুড়ে গেছে।

আরো পড়ুন: চেকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মাইন উদ্দিন বলেন, ঐর্দিকার শরীরের ২০, তূর্যের ১০ শতাংশ ও স্বামী-স্ত্রীর ২ শতাংশ দগ্ধ হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঐর্দিকাকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন: প্রশিক্ষণ প্রাইভেটকার পুকুরে পড়ে তরুণের মৃত্যু

কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মো. আব্দুল মালেক বলেন, দুপুরের রান্না করার পর লাইনের গ্যাস বন্ধ করার পর গ্যাস সুইচ থেকে আস্তে আস্তে গ্যাস লিকেজ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পূজার জন্য মোমবাতি জ্বালালে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে তদন্ত শেষে বিস্ফোরণের সঠিক কারণ জানা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪জন দগ্ধ

আপডেট সময় : ০৭:২২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসতঘরে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের নারী-শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তবে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যারা তাৎক্ষণিক বিস্ফোরণের সুনির্দিষ্ট কোন কারণ জানাতে পারেনি।

আরো পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ফ্রিজ মিস্ত্রির মৃত্যু

বুধবার (১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসবার ৮নম্বর ওয়ার্ডের মর্ডাণ রোডের রাহাত মঞ্জিলের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় দগ্ধ ঐর্দিকাকে উদ্ধার করে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন : রাতে মাছ শিকারে গিয়ে বজ্রপাতে দিনমজুরের মৃত্যু

দগ্ধরা চারজন হলেন ফ্ল্যাটের ভাড়াটে কুমোদ চন্দ্র নাথ (৪৩) তার স্ত্রী সবিতা রানী নাথ (৩২), মেয়ে ঐর্দিকা (৮) ও ছেলে তূর্য (৪)।

আরো পড়ুন : নোয়াখালীতে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন সভা

কুমোদ চন্দ্র নাথ বলেন, সন্ধ্যার দিকে আমিসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ওই সময় হঠাৎ ঘরের মধ্যে বিকট শব্দ হয়। একপর্যায়ে দেখি ঘরের বিভিন্ন কক্ষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে আমি,আমার স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ চারজন দগ্ধ হই। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমার মেয়ে ঐর্দিকাকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় ফ্ল্যাটের আসবাবসহ বেশ কিছু মালামাল পুড়ে গেছে।

আরো পড়ুন: চেকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মাইন উদ্দিন বলেন, ঐর্দিকার শরীরের ২০, তূর্যের ১০ শতাংশ ও স্বামী-স্ত্রীর ২ শতাংশ দগ্ধ হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঐর্দিকাকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন: প্রশিক্ষণ প্রাইভেটকার পুকুরে পড়ে তরুণের মৃত্যু

কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মো. আব্দুল মালেক বলেন, দুপুরের রান্না করার পর লাইনের গ্যাস বন্ধ করার পর গ্যাস সুইচ থেকে আস্তে আস্তে গ্যাস লিকেজ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পূজার জন্য মোমবাতি জ্বালালে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে তদন্ত শেষে বিস্ফোরণের সঠিক কারণ জানা যাবে।