নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলার আসামী মাঈনুদ্দিন সাহেদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে জেলার ২ নং আমলী আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, শনিবার দুপুর ২টায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে সাহেদকে নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে উপস্থিত হন। সন্ধ্যায় আসামি সাহেদের জবানবন্দী রেকর্ড করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোসলেহ উদ্দিন। সন্ধ্যায় জবানবন্দি রেকর্ড শেষে সাহেদকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এনিয়ে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোট ৫ আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর মধ্যে আবদুর রহিম মামলার ২ নং আসামী। অপর ৪ আসামী ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ, রাসেল, সাহেদ ও সোহাগের নাম মামলার এজাহারে না থাকলেও তদন্তে তাদেরকে যুক্ত করা হয়। মামলায় গ্রেপ্তার ১১ আসামির মধ্যে ৫ জনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে সকাল ১০টায় মামলার তিন আসামি বাদল, কালাম ও সাজুকে সাথে নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে নির্যাতনের শিকার ওই নারীর বাড়িতে যান। এ সময় পিবিআইয়ের উধর্বতন কর্মকর্তাগণ সাথে ছিলেন। তারা ওই বাড়িতে ২০ মিনিটের মতো অবস্থানকালে নির্যাতনে শিকার ওই নারীর বসতঘরের বিভিন্ন কক্ষ এবং ঘটনাস্থল ও আশপাশ ঘুরে দেখেন। তবে, তারা কারো সাথে কথা বলেননি।
ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং ঘটনার সময় মুঠোফোনে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন রাতে পুলিশ নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে খুঁজে বের করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়। ওই রাতেই ভুক্তভোগী বাদি হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি দায়ের করেন।
দুই মামলার এজাহারে ৯ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামী করা হয়। দুই মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ৬ জন এবং তদন্তে যুক্ত করা হয়েছে ৫ জনকে।