নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বাক প্রতিবন্ধী তরুণীকে (২৩) ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) দুপুরে আটককৃত আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আটককৃত, ফারুক হোসেন (৩০),উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চর হাসান গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে।
এর আগে, শুক্রবার ভোর রাতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করে চরজব্বর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর মা বুধবার (১৭ মার্চ) বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
চরজব্বর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.ইব্রাহীম খলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক আসামিকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম একজন বাক প্রতিবন্ধী তরুণী এবং ভিকটিমের বাবাও প্রতিবন্ধী। তার মা মানুষের বাড়িতে কাজ করে প্রতিবন্ধী মেয়ে ও স্বামীর সংসার চালায়। প্রতিবন্ধী মেয়েকে গত ২ বছর পূর্বে নোয়াখালী চৌমুহনী এলাকার এক ব্যক্তির সাথে বিবাহ হয়।
বিয়ের এক বছর পর হইতে সে স্বামী প্রতিবন্ধী স্ত্রীর কোনো খোঁজ খবর রাখে না এবং শ্বশুর বাড়িতেও আসেনা। ধর্ষক ফারুক ধর্ষিত তরুণীর প্রতিবেশী হয়। এক পর্যায়ে বাক প্রতিবন্ধী ওই তরুণীর ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তার। কয়েক মাস আগে একদিন ভুক্তভোগী তরুণীর মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ফারুক ভিকটিমের রান্না ঘরে ঢুকে রসুন বাটার সময় তরুণীকে পিছন থেকে জাপ্টে ধরে রান্নাঘরের একপাশে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়ে প্রতিবন্ধী হওয়ায় চিৎকার দিতে পারে নাই এবং উক্ত বিষয়ে কাউকে কিছু বলতেও পারে নাই।
গত বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল বেলা মেয়ে পেটের ব্যথায় কান্নাকাটি করলে তার মা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে ইসারা ইঙ্গিতে তার পেটে বাচ্চা রয়েছে বলে জানায়। বাচ্চা কিভাবে আসল জিজ্ঞাসা করলে সে তার মাকে জানায় ফারুক তাকে ধর্ষণ করেছে। ভুক্তভোগীর পরিবার আলট্রাসনোগ্রাফি করালে জানতে পারে মেয়ে ৩ সপ্তাহ তিনদিনের গর্ভবতী।