নোয়াখালী প্রতিবেদক:
স্বামীসহ শ্বশুর, ভাসুর ও দেবরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চর জব্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্ত্রী।
গৃহবধূ সুমি আক্তার (২৪) ২ সন্তানের জননী এবং লক্ষীপুর জেলার নাসিরগঞ্জ ইউনিয়নের চর মুসলিম গ্রামের মো. মোসলেহ উদ্দিনের মেয়ে।
গতকাল (৩০ মে) রবিবার রাতে চরজব্বার থানায় লিখিত এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর আগে, গত (২৮ মে) উপজেলার ৫নং চরজুবিলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে বলে বলা হচ্ছে ।
অভিযোগের আলোকে সোমবার (৩১ মে) সকাল ১১টায় চরজব্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসআই বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তদন্ত করে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগটি মিথ্যা মনে হয়েছে।
গৃহবধূ অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে সুবর্ণচরের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের পুত্র আমির হোসেন (৩০) সাথে সুমির বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমির হোসেনের বড় ভাই মোতালেবের কুদৃষ্টি পড়ে অসহায় সুমি আক্তারের ওপর। সব ভাই একই ঘরে থাকার সুবাধে আমির হোসেন অটোরিকশা চালাতে বাড়ী থেকে বাহিরে গেলে মোতালেব প্রায় গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এনিয়ে প্রতিবাদ করলে শ্বশুর,শাশুড়িসহ দেবর বর রিয়াজ, সজিব সুমিকে বেধড়ক মারধর করে। কয়েক মাস পর একই কায়দায় দেবর রিয়াজ এবং সজিব সুমি আক্তারকে একা পেলে বিভিন্ন সময় অসামাজিক কাজের প্রস্তাব দেয়। স্বামী আমির হোসেনকে জানালে আবারো শুরু হয় অমানুষিক নির্যাতন। গত (২৭ মে) রাতে স্বামী আমির হোসেন বাহিরে থাকায় গৃহবধূ সুমি আক্তার তার ঘরে একা ঘুমাচ্ছিলেন। ওই সুযোগে দেবর সুমি আক্তারের ঘরে প্রবেশ করে তার শরীর সম্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেয়। গৃহবধূর শৌর চিৎকার করলে শ্বশুর-শাশুড়ির লোকজন এগিয়ে এলে গৃহবধূ ঘটনা খুলে বলে। ঘটনাটি কাউকে না বলতে শ্বশুর শাশুড়ি সুমিকে চাপ প্রয়োগ করেন ।
ভুক্তভোগীর স্বামী আমির হোসেন বলেন, আমি দুই বছর অসুস্থ্য কাজ কর্ম করতে পারিনা। সে আমার ভাইদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে সেটা মিথ্যা।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জিয়াউল হক মীর জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।