সংবাদ শিরোনাম ::
১৯ হাজার ব্যাগ রক্তদানে উই ফর ইউ বাসে বেশি ভাড়া নেওয়ার প্রতিবাদ করায় মাথা ফাটালো আইনজীবি যাত্রীর জমি বিক্রির টাকা আত্মসাত করতে অন্তঃসত্বা বোনকে হত্যা: গ্রেপ্তার-২ Drug dealer arrested with 8,000 pieces of Yaba ৮হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার মাদক কারবারি স্বামী জুয়া খেলায় অভিমানে মেয়েকে নিয়ে স্ত্রীর আত্মহত্যা নদী ভাঙ্গন রোধে ক্রসডেম নির্মাণ ও ব্লক স্থাপনের দাবিতে জামায়াতের পদযাত্রা সেবার আলো ফাউন্ডেশনের ১ম বর্ষপূর্তি উদযাপন ও স্বেচ্ছাসেবীদের মিলন মেলা ২০২৫ অনুষ্ঠিত নোয়াখালী কলেজ বাংলা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েসনের ঈদ পুনর্মিলনী দীর্ঘ ১৮ বছর পর ভোট দেয়ার জন্য আগ্রহী মানুষ-বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ফখরুল

বাংলাদেশির বর্ণনায় লিবিয়ার নৃশংস হত্যাকাণ্ড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০ ৪২৮ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এনকে বার্তা ডেস্ক::

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ মোট ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে স্থানীয় এক মানবপাচারকারীর পরিবারের সদস্যরা। নিহত বাকি ৪ জন আফ্রিকান। এই ঘটনায় আরও ১১ জন বাংলাদেশি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে, লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে গুলি করে হত্যার সময় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান একজন। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী ওই বাংলাদেশি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।

ত্রিপলীস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে তিনি জানান, লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিজদাতে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলের অবস্থান ত্রিপলী থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে।

ওই বাংলাদেশির ভাষ্য, ১৫ দিন আগে লিবিয়ার বেনগাজী থেকে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে ত্রিপলিতে নেয়া হচ্ছিল ৩৮ বাংলাদেশিকে। পথেই তাদের মুক্তিপণ আদায়ের জন্য জিম্মি করে মানব পাচারকারীরা। মিজদা শহরে নেয়ার পর তাদের ওপর শুরু হয় নির্যাতন। নির্যাতন যখন কঠিন পর্যায়ে চলে যায়, তখন বাধা দেন অপহৃত ব্যক্তিরা। একপর্যায়ে অপহৃত ব্যক্তিরা মূল মানব পাচারকারীর লিবিয়ান ব্যক্তিকে হত্যা করেন।

এ ঘটনার খবর চলে যায় ওই নিহত পাচারকারীর স্বজনদের কাছে। তারাসহ অন্য দুষ্কৃতিকারীরা জিম্মিদের উপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জন অভিবাসী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

বেঁচে যাওয়া ওই বাংলাদেশি বর্তমানে একজন হৃদয়বান লিবিয়ানের আশ্রয়ে আত্মগোপন করে আছেন। এ বিষয়ে ত্রিপলীস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে।

দূতাবাস জানায়, নিহত ২৬ বাংলাদেশির লাশ মিজদাহ হাসপাতালে সংরক্ষিত রয়েছে। আহত বাকি ১১ বাংলাদেশির হাত-পায়ে ও বুকে-পিঠে গুলি লেগেছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অন্যদিকে তুরস্ক সরকার সমর্থিত সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহার তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়িছে, এক পাচারকারী পরিবার প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। ওই পাচারকারী আগেই মারা গেছে। সেই মৃত্যুর দায় এই অভিবাসীদের ওপর চাপিয়েছে তার স্বজনরা। ফলে তাদের হত্যা করা হয়।

তেল নির্ভর অর্থনীতির দেশ লিবিয়া দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসীদের গন্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজের সন্ধানে এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশ থেকেই তরুণেরা অবৈধ পথে দেশটিতে পাড়ি জমায়। এদের মধ্যে বেশির ভাগের চেষ্টা থাকে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

বাংলাদেশির বর্ণনায় লিবিয়ার নৃশংস হত্যাকাণ্ড

আপডেট সময় : ১১:৩৭:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০

এনকে বার্তা ডেস্ক::

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ মোট ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে স্থানীয় এক মানবপাচারকারীর পরিবারের সদস্যরা। নিহত বাকি ৪ জন আফ্রিকান। এই ঘটনায় আরও ১১ জন বাংলাদেশি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে, লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে গুলি করে হত্যার সময় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান একজন। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী ওই বাংলাদেশি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।

ত্রিপলীস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে তিনি জানান, লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিজদাতে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলের অবস্থান ত্রিপলী থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে।

ওই বাংলাদেশির ভাষ্য, ১৫ দিন আগে লিবিয়ার বেনগাজী থেকে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে ত্রিপলিতে নেয়া হচ্ছিল ৩৮ বাংলাদেশিকে। পথেই তাদের মুক্তিপণ আদায়ের জন্য জিম্মি করে মানব পাচারকারীরা। মিজদা শহরে নেয়ার পর তাদের ওপর শুরু হয় নির্যাতন। নির্যাতন যখন কঠিন পর্যায়ে চলে যায়, তখন বাধা দেন অপহৃত ব্যক্তিরা। একপর্যায়ে অপহৃত ব্যক্তিরা মূল মানব পাচারকারীর লিবিয়ান ব্যক্তিকে হত্যা করেন।

এ ঘটনার খবর চলে যায় ওই নিহত পাচারকারীর স্বজনদের কাছে। তারাসহ অন্য দুষ্কৃতিকারীরা জিম্মিদের উপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জন অভিবাসী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

বেঁচে যাওয়া ওই বাংলাদেশি বর্তমানে একজন হৃদয়বান লিবিয়ানের আশ্রয়ে আত্মগোপন করে আছেন। এ বিষয়ে ত্রিপলীস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে।

দূতাবাস জানায়, নিহত ২৬ বাংলাদেশির লাশ মিজদাহ হাসপাতালে সংরক্ষিত রয়েছে। আহত বাকি ১১ বাংলাদেশির হাত-পায়ে ও বুকে-পিঠে গুলি লেগেছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অন্যদিকে তুরস্ক সরকার সমর্থিত সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহার তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়িছে, এক পাচারকারী পরিবার প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। ওই পাচারকারী আগেই মারা গেছে। সেই মৃত্যুর দায় এই অভিবাসীদের ওপর চাপিয়েছে তার স্বজনরা। ফলে তাদের হত্যা করা হয়।

তেল নির্ভর অর্থনীতির দেশ লিবিয়া দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসীদের গন্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজের সন্ধানে এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশ থেকেই তরুণেরা অবৈধ পথে দেশটিতে পাড়ি জমায়। এদের মধ্যে বেশির ভাগের চেষ্টা থাকে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার।