ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ভাতিজিকে নিয়ে লাপাত্তা যুবলীগ নেতা

হাতিয়া প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ১১:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ৫০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে ভাতিজিকে (১৯) নিয়ে রিপন চন্দ্র দাস নামে এক যুবলীগ নেতা লাপাত্তা রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আরো পড়ুন: যুবককে গুলি করে হত্যা, তিন অস্ত্রধারীকে গণধোলাই

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ওসি একেএম আজমল হুদা। তিনি বলেন, এ ঘটনায় গতকাল রোববার ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে, গত শনিবার উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন: জলাবদ্ধতা নিরসনে নোয়াখালী খালসহ শাখা খাল খনন দাবিতে উপজেলা নির্বাহী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

অভিযুক্ত রিপন চন্দ্র দাস (৩৮) উপজেলার চরঈশ্বর ইউনের ৪নম্বর ওয়ার্ডের চরলটিয়া গ্রামের প্রিয়লাল চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং তিন সন্তানের জনক। ওই কলেজ ছাত্রী তার দূর সম্পর্কের ভাতিজি হয়।

আরো পড়ুন: আমার দেশ সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে মানববন্ধন

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, যুবলীগ নেতা রিপন ও নিখোঁজ কলেজ ছাত্রী নিকট প্রতিবেশী হয়। মেয়ের বাবার সাথে রিপনের সুসম্পর্ক ছিল। ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা প্রায় রিপনকে তার বাড়িতে নিয়ে যেত। সেখানে রিপন প্রায় মা-মেয়ের সাথে গল্প করত। তবে ভুক্তভোগী পরিবার বলছে, কলেজে যাওয়ার পথে মেয়েকে উত্যাক্ত করত রিপন। একপর্যায়ে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। মেয়ে বিষয়টি তার বাবাকে বলার পর তিনি ছেলের পরিবারকে বিষয়টি জানায়। তখন অভিযুক্ত ছেলে ও তার পরিবারের লোকজন মেয়ের বাবাকে হুমকি-ধমকি দেয়। রিপন সরকার পতনের পর কিছুদিন গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন। কয়েক মাস আগে আবার প্রকাশ্যে আসে। গত শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে কলেজে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে রিপনসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায়। এখনো মেয়ের কোন খোঁজ পাননি তার পরিবার। যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা রিপন চন্দ্র দাসের মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন: নোয়াখালীতে গাছ কাটার সময় বজ্রপাতে দিনমজুরের মৃত্যু

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা আরো বলেন, মেয়ের বাবার সাথে অভিযুক্ত ছেলের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। প্রায় মেয়ের বাবা ছেলেকে তাদের বাসায় নিয়ে যেত, খাওয়া দাওয়া করত, এক সাথে ঘুমাতো। ওই ছেলে মেয়েকে কলেজে নিত, এখন সে মেয়ে নিয়ে ভাগছে। এখানে অপহরণের কোনো কাহিনী নেই। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

ভাতিজিকে নিয়ে লাপাত্তা যুবলীগ নেতা

আপডেট সময় : ১১:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে ভাতিজিকে (১৯) নিয়ে রিপন চন্দ্র দাস নামে এক যুবলীগ নেতা লাপাত্তা রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আরো পড়ুন: যুবককে গুলি করে হত্যা, তিন অস্ত্রধারীকে গণধোলাই

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ওসি একেএম আজমল হুদা। তিনি বলেন, এ ঘটনায় গতকাল রোববার ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে, গত শনিবার উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন: জলাবদ্ধতা নিরসনে নোয়াখালী খালসহ শাখা খাল খনন দাবিতে উপজেলা নির্বাহী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

অভিযুক্ত রিপন চন্দ্র দাস (৩৮) উপজেলার চরঈশ্বর ইউনের ৪নম্বর ওয়ার্ডের চরলটিয়া গ্রামের প্রিয়লাল চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং তিন সন্তানের জনক। ওই কলেজ ছাত্রী তার দূর সম্পর্কের ভাতিজি হয়।

আরো পড়ুন: আমার দেশ সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে মানববন্ধন

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, যুবলীগ নেতা রিপন ও নিখোঁজ কলেজ ছাত্রী নিকট প্রতিবেশী হয়। মেয়ের বাবার সাথে রিপনের সুসম্পর্ক ছিল। ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা প্রায় রিপনকে তার বাড়িতে নিয়ে যেত। সেখানে রিপন প্রায় মা-মেয়ের সাথে গল্প করত। তবে ভুক্তভোগী পরিবার বলছে, কলেজে যাওয়ার পথে মেয়েকে উত্যাক্ত করত রিপন। একপর্যায়ে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। মেয়ে বিষয়টি তার বাবাকে বলার পর তিনি ছেলের পরিবারকে বিষয়টি জানায়। তখন অভিযুক্ত ছেলে ও তার পরিবারের লোকজন মেয়ের বাবাকে হুমকি-ধমকি দেয়। রিপন সরকার পতনের পর কিছুদিন গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন। কয়েক মাস আগে আবার প্রকাশ্যে আসে। গত শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে কলেজে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে রিপনসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায়। এখনো মেয়ের কোন খোঁজ পাননি তার পরিবার। যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা রিপন চন্দ্র দাসের মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন: নোয়াখালীতে গাছ কাটার সময় বজ্রপাতে দিনমজুরের মৃত্যু

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা আরো বলেন, মেয়ের বাবার সাথে অভিযুক্ত ছেলের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। প্রায় মেয়ের বাবা ছেলেকে তাদের বাসায় নিয়ে যেত, খাওয়া দাওয়া করত, এক সাথে ঘুমাতো। ওই ছেলে মেয়েকে কলেজে নিত, এখন সে মেয়ে নিয়ে ভাগছে। এখানে অপহরণের কোনো কাহিনী নেই। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।