ঢাকা ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, পাঁচ শিশুসহ আহত-৬ মানবিক তারুণ্যের ৮ম যুব সম্মেলন ও এ্যাওয়ার্ড বিতরণ সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ, পুলিশের তদন্তকালে বাদীর উপর হামলা, আহত ৪ হাসনাত-সারজিস ছাত্রলীগ থেকে গিয়ে নতুন দলে এসেছে: ইসমাইল সম্রাট কবিরহাটের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র শিরিন গার্ডেনে হামলার অভিযোগ, পুলিশসহ আহত ৭ সুধারামে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতকর্মীদের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

ঢুকছে ফেনীর মহুরী নদীর পানি, নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীতে ফেনীর মহুরী নদীর পানি ঢুকছে। এতে নোয়াখালীর নয়টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নতুন করে জেলার অনেক এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। এদিকে নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘন্টায় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে জেলা আবহওয়া অফিস। এর মধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন নয়টি উপজেলার ২০ লাখ মানুষ। এখনো পানিতে তলিয়ে আছে গ্রামীণ সব সড়ক ও ফসলি মাঠ। ভেসে গেছে পুকুর ও খামারের মাছ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে জেলা শহর মাইজদীসহ নয়টি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এদিকে জলাবদ্ধতায় ডুবে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ। এছাড়া নোয়াখালী পৌরসভার বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

 

স্থানীয়রা বলছে, জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করায় মানুষজন ছুটছে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে। বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

 

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে দেখা গেছে, অনেক ঘরে হাঁটু পানি, রান্নাঘরেও পানি। পানির কারণে রান্নাও করতে পারেনি অনেকে। আশপাশের নালায় জমে থাকা ময়লা আবর্জনা বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন পানিবাহি রোগ। এতে রোগজীবাণু ছড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেক শিশু ও বয়স্করা। জেলার ৭টি পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকাই তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে । সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে গ্রামীণ সড়কে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।

 

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ফেনীর মহুরী নদীর পানি নোয়াাখালী ঢুকতেছে। ঢুকে পড়া মহুরী নদীর পানি লক্ষীপুর হয়ে নেমে যাবে। এজন্য বাড়বে পানি। সকালে বিষয়টি আমাকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। মুহুরী নদীর পানি বেশি প্লাবিত হওয়াতে নোয়াখালীও প্লাবিত হচ্ছে।

 

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, প্রথমে নোয়াখালীেতে ছিল জলাবদ্ধতা। এখন যে অবস্থা তাতে পানি নামার কোন সুযোগ নেই। মহুরী নদী থেকে পানি আসছে। যারা বন্যায় আক্রান্ত তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি বৈঠক ডাকা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

ঢুকছে ফেনীর মহুরী নদীর পানি, নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীতে ফেনীর মহুরী নদীর পানি ঢুকছে। এতে নোয়াখালীর নয়টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নতুন করে জেলার অনেক এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। এদিকে নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘন্টায় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে জেলা আবহওয়া অফিস। এর মধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন নয়টি উপজেলার ২০ লাখ মানুষ। এখনো পানিতে তলিয়ে আছে গ্রামীণ সব সড়ক ও ফসলি মাঠ। ভেসে গেছে পুকুর ও খামারের মাছ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে জেলা শহর মাইজদীসহ নয়টি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এদিকে জলাবদ্ধতায় ডুবে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ। এছাড়া নোয়াখালী পৌরসভার বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

 

স্থানীয়রা বলছে, জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করায় মানুষজন ছুটছে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে। বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

 

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে দেখা গেছে, অনেক ঘরে হাঁটু পানি, রান্নাঘরেও পানি। পানির কারণে রান্নাও করতে পারেনি অনেকে। আশপাশের নালায় জমে থাকা ময়লা আবর্জনা বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন পানিবাহি রোগ। এতে রোগজীবাণু ছড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেক শিশু ও বয়স্করা। জেলার ৭টি পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকাই তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে । সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে গ্রামীণ সড়কে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।

 

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ফেনীর মহুরী নদীর পানি নোয়াাখালী ঢুকতেছে। ঢুকে পড়া মহুরী নদীর পানি লক্ষীপুর হয়ে নেমে যাবে। এজন্য বাড়বে পানি। সকালে বিষয়টি আমাকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। মুহুরী নদীর পানি বেশি প্লাবিত হওয়াতে নোয়াখালীও প্লাবিত হচ্ছে।

 

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, প্রথমে নোয়াখালীেতে ছিল জলাবদ্ধতা। এখন যে অবস্থা তাতে পানি নামার কোন সুযোগ নেই। মহুরী নদী থেকে পানি আসছে। যারা বন্যায় আক্রান্ত তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি বৈঠক ডাকা হবে।