ঢাকা ১০:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাজারে সংকট সয়াবিন তেলের, রমজানের আগেই বাড়তে পারে দাম সবজির দামে স্বস্তি ফিরলো ক্রেতার সুবর্ণচর উপজেলা সাংবাদিক ফোরামের আহ্বায়ক খলিল সদস্য সচিব আরিফ সবুজ কোম্পানীগঞ্জে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত সুবর্ণচরের চরক্লার্ক ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত কলেজে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে ধাওয়া খেয়ে পালালেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মি ১৭ বছর পর জামিনে মুক্তি পেয়ে পরিবারের কাছে বিডিআর ফিরোজ মিয়া, সহকর্মীদের থেকে পেলো সংবর্ধনা রাজকীয় ভাবে বিদায়ী সংবর্ধনা পেলো দুর্গাপুর হাই স্কুলের তিন গুণীশিক্ষক মুছাপুর রেগুলেটর পুনঃনির্মাণের দাবিতে ডিসি-ইউএনও কে আল্টিমেটাম CNG driver’s death by pressing the pickup van

সবজির দামে স্বস্তি ফিরলো ক্রেতার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৩:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ ৪৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাজারে বেড়েছে সবজির সরবরাহ, ফলে দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কমে যাচ্ছে। দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের। বিক্রেতারা বলছে গত দুই মাস আগের তুলনায় বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে বিক্রিও।

 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

 

আজকের বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়, শালগম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, সাধারণ শিম ৩০ টাকা, আর বিচিসহ শিম ৪০ টাকা, লম্বা আকৃতির ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, খিঁড়া ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, করলা (হাইব্রিড) ৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গাজর ৪০ টাকা, ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা প্রতি কেজি এবং লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আসাদুজ্জামান বলেন, বাজারের সবজির দাম তুলনামূলক কম যে কারণে এই সময়ে এসে ইচ্ছেমতো সবজি কেনা যাচ্ছে। দুই একটি সবজি যেগুলোর এখন মৌসুম নয় সেগুলো ছাড়া সবধরনের সবজির দামই কম। দুই তিন মাস আগেও সবজির দাম খুবই চড়া ছিল তখন ক্রেতারা, আমি নিজেও হাফ কেজি, আড়াইশো গ্রাম করে সবজি কিনেছি। সেই তুলনায় এখন সবজির দাম অনেক কম, এসে করে ক্রেতাদের স্বস্তি ফিরেছে। সবজি দামের মত যদি অন্যান্য সব পণ্যের দাম কম থাকতো তাহলে সাধারণ ক্রেতারা আরো স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারতেন।

 

মালিবাগ বাজারের আরেক ক্রেতা ফয়সাল আহমেদ বলেন, কিছুদিন আগেও অতিরিক্ত দামের কারণে আমরা সবজি কিনতে পারতাম না। সেই তুলনায় এখন সবজির দাম কম, মূলত শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় দামটা আমরা কম পাচ্ছি। তবে শীত চলে গেলে মনে হয় আবারও সবজির দাম বেড়ে যাবে। বাজার সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের উচিত হবে সবসময়ের জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা। নইলে ফের সবজির দাম বেড়ে যাবে। বর্তমানে সবজির যে বাজার দর আছে তাতে করে ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে কিনতে পারছেন। নিম্নআয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত শ্রেণি সবার জন্যই বর্তমানে সবজির বাজার নাগালের মধ্যে।

 

সবজির দাম বিষয়ে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, পুরো বছরের মধ্যে বর্তমানে সবজির দাম সবচেয়ে কম। সবধরনের সবজির সরবরাহ বেড়েছে বাজারে, শীতকালীন পুরো সময়জুড়েই সবজির এমন সরবরাহ থাকবে। যে কারণে বাজারের সবচেয়ে কম দামে সবজি কিনতে পারছেন ক্রেতারা। এতে করে আমাদের বিক্রির পরিমাণও বেড়েছে। দাম বেশি থাকার সময় একজন ক্রেতা আধা কেজি, আড়াইশো গ্রাম করে ও সবজি কিনত। বর্তমানে দাম কম থাকায় সেই ক্রেতাই অনেক বেশি পরিমাণে সবজি কিনছে। এতে করে আগে যদি এক আইটেম সবজি ৫ কেজি বিক্রি হতো, এখন সেই সবজি বিক্রি হয় ‌১০-১৫ কেজি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

সবজির দামে স্বস্তি ফিরলো ক্রেতার

আপডেট সময় : ০৮:৩৩:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

বাজারে বেড়েছে সবজির সরবরাহ, ফলে দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কমে যাচ্ছে। দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের। বিক্রেতারা বলছে গত দুই মাস আগের তুলনায় বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে বিক্রিও।

 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

 

আজকের বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়, শালগম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, সাধারণ শিম ৩০ টাকা, আর বিচিসহ শিম ৪০ টাকা, লম্বা আকৃতির ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, খিঁড়া ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, করলা (হাইব্রিড) ৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গাজর ৪০ টাকা, ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা প্রতি কেজি এবং লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আসাদুজ্জামান বলেন, বাজারের সবজির দাম তুলনামূলক কম যে কারণে এই সময়ে এসে ইচ্ছেমতো সবজি কেনা যাচ্ছে। দুই একটি সবজি যেগুলোর এখন মৌসুম নয় সেগুলো ছাড়া সবধরনের সবজির দামই কম। দুই তিন মাস আগেও সবজির দাম খুবই চড়া ছিল তখন ক্রেতারা, আমি নিজেও হাফ কেজি, আড়াইশো গ্রাম করে সবজি কিনেছি। সেই তুলনায় এখন সবজির দাম অনেক কম, এসে করে ক্রেতাদের স্বস্তি ফিরেছে। সবজি দামের মত যদি অন্যান্য সব পণ্যের দাম কম থাকতো তাহলে সাধারণ ক্রেতারা আরো স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারতেন।

 

মালিবাগ বাজারের আরেক ক্রেতা ফয়সাল আহমেদ বলেন, কিছুদিন আগেও অতিরিক্ত দামের কারণে আমরা সবজি কিনতে পারতাম না। সেই তুলনায় এখন সবজির দাম কম, মূলত শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় দামটা আমরা কম পাচ্ছি। তবে শীত চলে গেলে মনে হয় আবারও সবজির দাম বেড়ে যাবে। বাজার সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের উচিত হবে সবসময়ের জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা। নইলে ফের সবজির দাম বেড়ে যাবে। বর্তমানে সবজির যে বাজার দর আছে তাতে করে ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে কিনতে পারছেন। নিম্নআয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত শ্রেণি সবার জন্যই বর্তমানে সবজির বাজার নাগালের মধ্যে।

 

সবজির দাম বিষয়ে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, পুরো বছরের মধ্যে বর্তমানে সবজির দাম সবচেয়ে কম। সবধরনের সবজির সরবরাহ বেড়েছে বাজারে, শীতকালীন পুরো সময়জুড়েই সবজির এমন সরবরাহ থাকবে। যে কারণে বাজারের সবচেয়ে কম দামে সবজি কিনতে পারছেন ক্রেতারা। এতে করে আমাদের বিক্রির পরিমাণও বেড়েছে। দাম বেশি থাকার সময় একজন ক্রেতা আধা কেজি, আড়াইশো গ্রাম করে ও সবজি কিনত। বর্তমানে দাম কম থাকায় সেই ক্রেতাই অনেক বেশি পরিমাণে সবজি কিনছে। এতে করে আগে যদি এক আইটেম সবজি ৫ কেজি বিক্রি হতো, এখন সেই সবজি বিক্রি হয় ‌১০-১৫ কেজি।