নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে একটি ন্যাক্কার জনক ঘটনার স্বাক্ষী হলেন পুরো জেলাবাসি। একটা ছেলে এবং মেয়ে প্রেম করে থাকে এটাই স্বাভাবিক, তবে সেই প্রেম যদি হয় জামাই শাশুড়ির তখন কি আর বলার বা করার থাকে।

আরো পড়ুন: বিএনপি নেতা শামীমকে প্রত্যাখানের ঘোষণা, কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

অভিযুক্তরা হলেন, নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড শ্রনদ্দী গ্রামের হাট বাড়ির প্রবাসী নুর মিয়ার স্ত্রী কাজল বেগম (৪০) ও তার মেয়ের জামাই শাফায়েত হোসেন আশিক (৩৫)।

আরো পড়ুন: চৌমুহনীতে আগুনে পুড়ল ৬ দোকান

জামাই শাশুড়ির একটি টিকটক ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল। তবে আরো কিছু ছবি এবং ভিডিও আছে যেটা প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

আরো পড়ুন: দ্বীপ হাতিয়ায় গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

শুক্রবার (১৪ মার্চ) দিবাগত রাত ১২ টার সময় শ্বশুর বাড়ির ঘরের ভিতর মেয়ের জামাই ও শাশুড়িকে উলঙ্গ অবস্থায় হাতে নাতে ধরে নেন এলাকাবাসী ও বাড়ির অন্য সদস্যরা।

আরো পড়ুন: ইফতার শেষে ফেরার পথে কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার-২

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, মেয়ের জামাই আশিকের সাথে আগ থেকে শাশুড়ির অনৈতিক সম্পর্ক থাকার সুবাদে মেয়ের প্রথম জামাই থেকে মেয়েকে ডিভোর্স নিয়ে তার সুবিধার্থে এই ছেলের সাথে বিয়ে দেয়, এতে করে দৈহিক সম্পর্ক রেগুলার করার জন্য জামাই শাশুড়ির পথ আরো সহজ হয়।

আরো পড়ুন: বিধবার ঘরে ঢুকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে করলো ডাকাতি

এলাকাবাসী জানান, তাদের এই অবৈধ সম্পর্ক অনেকদিন ধরে চলছে, তবে তাদেরকে হাতেনাতে ধরার জন্য অনেকদিন চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হলেও গতরাতে সেটা আর হয়নি, ঘরের মধ্যে শাশুড়ি একা থাকা অবস্থায় মেয়ের জামাই ঘরের পিছন দিক থেকে এসে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করেন। তৎক্ষনাৎ তারা অবৈধ কাজে লিপ্ত হয় বলে জানান এলাকাবাসী, এমতাবস্থায় চারদিক থেকে লোকজন ঘেরাও করে তাদেরকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়।

আরো পড়ুন: প্রয়াত বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টার মওদুদের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহিন মিয়া বলেন, জামাই শাশুড়ির অবৈধ সম্পর্কের কারণে তাদেরকে হাতেনাতে ধরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসেন, এবং তারা অসুস্থ হওয়ার কারণে তাদেরকে কবিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।