বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মিকে হয়রানি, আদালতে সাক্ষী দিতে এসে হেনেস্তা এসআই

- আপডেট সময় : ১১:১৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫ ১০৯ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে জনতার হাতে আটক হয়েছন সুধারাম থানার সাবেক টিএসআই লিটন চন্দ্র দ্ত্ত।
আরো পড়ুন: বাড়ির পাশে দোকানে গিয়ে ধর্ষণের শিকার ৭বছরের শিশু
গত রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরের দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। বিক্ষুদ্ধ জনতার হাতে টিএসআই লিটন আটক হওয়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় দারোগা লিটন জনতার কাছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে কৃতকর্মের জন্যে ক্ষমা চান।
আরো পড়ুন: চুলার আগুনে আবারো পুড়ল ১৬ দোকান
স্থানীয়রা জানায়, টিএসআই লিটন গত ১০ বছর মাইজদী শহরে দায়িত্ব পালন করে। ওই সময় নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর আস্থাভাজন হয়ে উঠেন। এ সুযোগে তিনি স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মিদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে নানা ভাবে হয়রানি করেন। ওয়াজ মাহফিল বন্ধে নগ্ন হস্তক্ষেপ করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
আরো পড়ুন: অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে তরুণের মৃত্যু
একাধিক বিএনপি নেতা জানান, লিটন দত্ত বিগত ফ্যাসিবাদের দোসর। তার অত্যাচারে বিএনপি নেতারা ঘরে ঘুমাতে পারেনি। বিভিন্ন অজুহাতে মামলার ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়। রোববার দুপুরের দিকে আদালতে তার সাক্ষ্য দিতে আসার খবরে ভুক্তভোগী জনতা আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয়। পরে ভুক্তভোগী লোকজন তাকে আটক করে হেনস্তা করে। খবর পেয়ে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে সেনাবাহিনী ও সূধারাম থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আরো পড়ুন: রেমিট্যান্সে সুবাতাস, ঈদের আগেই ১৯ দিনে এলো ২৭৪৭৪ কোটি টাকা
সূধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের হাতে তার আটক হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। কোনো অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।