ঢাকা ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খান ‘র ওপর হামলার ঘটনায় চার্জশিট দাখিল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৯:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০২০ ৬৮৫৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
প্রতিবেদক, দিনাজপুর:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বহুল আলোচিত  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর বর্বরোচিত হামলা মামলার ঘটনায় আদালতে  চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকাল ৪ টার দিকে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল আদালতের ঘোড়াঘাট বিচারিক আদালতে মামলার সকল আলামত ও ফরেনসিক রিপোর্ট জমা দেয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইমাম জাফর চার্জশিট দাখিলের বিষযটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার ৭৯ দিন পর ইউএনও ওপর  হামলায়  ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত ও ফারেনসিক রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে ইউএনও’র বাড়ির মালি রবিউল ইসলাম জড়িত বলে তিনি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর রবিউল ইসলামকে প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজ বাড়ি বিরল উপজেলার বিজোড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর আটক রবিউল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তখন থেকেই দিনাজপুর জেলা কারাগারে রয়েছেন তিনি।
গত ২ সেপ্টেম্বর সরকারি বাসভবনে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় ইউএনও ওয়াহিদাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মাথা থেতলিয়ে দেয়া হয় ও ওমর আলী শেখ মারাত্মকভাবে আহত হন।
হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, লাঠি, মই, চাবিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসাথে তার পরনের প্যান্ট ও হাতের ছাপসহ মোবাইলের লোকেশনের বিষয়গুলো আলামত হিসেবে ঢাকায় পাঠানো হয়। এসব আলামত ও ফরেনসিক রির্পোট বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি অফিসার ইনচার্জ।
গত ১২ তারিখে এ বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছিলেন, রবিউল ইসলাম দায় স্বীকার করেছেন। তিনি আক্রোশ থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি প্রধান পরিকল্পনাকারী এবং একমাত্র হামলাকারী।
পরে তাকে দ্বিতীয় দফায় আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ। আদালতের বিচারক তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওইদিন থেকেই রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। স্বীকারিক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করায় গত ২১ সেপ্টম্বর থেকে রবিউল জেলা কারাগারে রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খান ‘র ওপর হামলার ঘটনায় চার্জশিট দাখিল

আপডেট সময় : ০৯:৫৯:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০২০
প্রতিবেদক, দিনাজপুর:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বহুল আলোচিত  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর বর্বরোচিত হামলা মামলার ঘটনায় আদালতে  চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকাল ৪ টার দিকে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল আদালতের ঘোড়াঘাট বিচারিক আদালতে মামলার সকল আলামত ও ফরেনসিক রিপোর্ট জমা দেয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইমাম জাফর চার্জশিট দাখিলের বিষযটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার ৭৯ দিন পর ইউএনও ওপর  হামলায়  ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত ও ফারেনসিক রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে ইউএনও’র বাড়ির মালি রবিউল ইসলাম জড়িত বলে তিনি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর রবিউল ইসলামকে প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজ বাড়ি বিরল উপজেলার বিজোড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর আটক রবিউল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তখন থেকেই দিনাজপুর জেলা কারাগারে রয়েছেন তিনি।
গত ২ সেপ্টেম্বর সরকারি বাসভবনে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় ইউএনও ওয়াহিদাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মাথা থেতলিয়ে দেয়া হয় ও ওমর আলী শেখ মারাত্মকভাবে আহত হন।
হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, লাঠি, মই, চাবিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসাথে তার পরনের প্যান্ট ও হাতের ছাপসহ মোবাইলের লোকেশনের বিষয়গুলো আলামত হিসেবে ঢাকায় পাঠানো হয়। এসব আলামত ও ফরেনসিক রির্পোট বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি অফিসার ইনচার্জ।
গত ১২ তারিখে এ বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছিলেন, রবিউল ইসলাম দায় স্বীকার করেছেন। তিনি আক্রোশ থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি প্রধান পরিকল্পনাকারী এবং একমাত্র হামলাকারী।
পরে তাকে দ্বিতীয় দফায় আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ। আদালতের বিচারক তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওইদিন থেকেই রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। স্বীকারিক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করায় গত ২১ সেপ্টম্বর থেকে রবিউল জেলা কারাগারে রয়েছে।