ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা School student murdered in trivial incident: Police unravel mystery নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল ছাত্র খুন: রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের ইতালি মার্কেটে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিজ এলাকায় হামলার শিকার এনসিপি নেতা হান্নান মাসুদ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত-১৫

পাখির কলরবে মুগ্ধ দিনাজপুরের হিলির চারমাথা বকুল তলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৬:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০২০ ৬৯৩১ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতিবেদক, (হিলি) দিনাজপুর:

 

দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি চারমাথা বকুল তলায় চড়ুই পাখির কলরবে যেন মুগ্ধ চারদিক। অনেকেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই শুনেন এই চড়ুই পাখিদের কিচিরমিচির গল্প অথবা ঝগড়া। এক জায়গায় শত শত চড়ুই পাখি দেখে যেন মনটা জুড়ে যায়।

 

এমনি একটি দৃশ্য চোখে পড়ে হিলি স্থল বন্দরের চারমাথা মোড়ে। যানবাবহনের শব্দের মাঝে শুনা গেলো একটি মিষ্টি শব্দ। মাথা উচু করে দেখতেই চোখে পড়লো হাজারো চড়ুই পাখির সমাগম।

 

রাস্তার ধারে বকুল গাছের উপরে বসে আছে হাজারো পাখি। এতো যানবাহনের শব্দের মধ্যেও শুনাযাচ্ছে পাখিগুলো কিচির-মিচিড় শব্দ। কেউবা বসেছে তারের উপরে কেউবা উড়ে গিয়ে বসছে, বিভিন্ন গাছের ডালের উপরে। হাজারো পাখির কিচিড়-মিচিড়ে মুগ্ধ হয়ে উঠেছে পুরো চারমাথা ব্যস্ত মোড়ে।

 

রাস্তার পাশে কথা হয় আমজাদ খানের সাথে তিনি বলেন, এতোগুলো চড়ুই পাখি একসাথে কিচির-মিচিড় করছে। আসলেই বিষয়টি অনেক সুন্দর জনক। পাখিগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগছে।

 

হাকিমপুর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তৌহিদ বলেন, প্রতিদিন বিকেলেই এই সময় চারমাথা মোড়ে বকুল গাছেগুলোতে পাখির ডালে ডালে ও পাখির কিচির-মিচির শব্দ জানিয়ে দেয় তাদের উপস্থিতি। সংখ্যায় প্রায় কয় এক হাজারের মতো হবে। চারপাশের তার ও গাছগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বসে তারা। বিকেল থেকে পরের দিন ভোর পর্যন্ত থাকেন এই পাখিগুলো। ভোর হলেই বেড়িয়ে পরে খাবারের লক্ষে। আবরো ফিরে আসে বিকেলে। যখন ফিরে আসে তখনি তাদের কিচির-মিচিরে মুখরিত হয়ে উঠে এলাকাটি।

 

হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, প্রতি বছরে শেষে ডিসেম্বরে শুরুতে পাখিগুলো ঝাঁক বেধে ফিরে আসে চারমাথা বকুল ফুলের গাছে ডালে ডালে পাখিগুলো দেখতে অনেক ভালোই লাগে। বিশেষ করে যখন ঝাঁক বেঁধে উড়ার দৃশ্য দেখি তখন অনেক বেশি ভালো লাগে। পৌর সভার পক্ষ থেকে প্রতিদিন তাদের দেখভাল করা হয়।তাদের কেউ বিরক্ত না করে। খেয়াল রাখা হয়।

হাকিমপুর উপজেলার চেয়ারম্যান হারুনউর রশিদ হারন বলেন, এই চড়ুই পাখিগুলো জনবসতির মধ্যে থাকতে অনেক বেশি ভালোবাসে। যার কারনে এদের বলা হয় স্প্যারো। যেহেতু এই পাখিগুলো জনবসতির মধ্যে থাকতে ভালোবাসে সেজন্য কেউ যাতে এই পাখিদের মারার চেষ্টা না করেন সকলের কাছে এমনি আহবান করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

পাখির কলরবে মুগ্ধ দিনাজপুরের হিলির চারমাথা বকুল তলা

আপডেট সময় : ১০:০৬:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০২০

প্রতিবেদক, (হিলি) দিনাজপুর:

 

দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি চারমাথা বকুল তলায় চড়ুই পাখির কলরবে যেন মুগ্ধ চারদিক। অনেকেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই শুনেন এই চড়ুই পাখিদের কিচিরমিচির গল্প অথবা ঝগড়া। এক জায়গায় শত শত চড়ুই পাখি দেখে যেন মনটা জুড়ে যায়।

 

এমনি একটি দৃশ্য চোখে পড়ে হিলি স্থল বন্দরের চারমাথা মোড়ে। যানবাবহনের শব্দের মাঝে শুনা গেলো একটি মিষ্টি শব্দ। মাথা উচু করে দেখতেই চোখে পড়লো হাজারো চড়ুই পাখির সমাগম।

 

রাস্তার ধারে বকুল গাছের উপরে বসে আছে হাজারো পাখি। এতো যানবাহনের শব্দের মধ্যেও শুনাযাচ্ছে পাখিগুলো কিচির-মিচিড় শব্দ। কেউবা বসেছে তারের উপরে কেউবা উড়ে গিয়ে বসছে, বিভিন্ন গাছের ডালের উপরে। হাজারো পাখির কিচিড়-মিচিড়ে মুগ্ধ হয়ে উঠেছে পুরো চারমাথা ব্যস্ত মোড়ে।

 

রাস্তার পাশে কথা হয় আমজাদ খানের সাথে তিনি বলেন, এতোগুলো চড়ুই পাখি একসাথে কিচির-মিচিড় করছে। আসলেই বিষয়টি অনেক সুন্দর জনক। পাখিগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগছে।

 

হাকিমপুর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তৌহিদ বলেন, প্রতিদিন বিকেলেই এই সময় চারমাথা মোড়ে বকুল গাছেগুলোতে পাখির ডালে ডালে ও পাখির কিচির-মিচির শব্দ জানিয়ে দেয় তাদের উপস্থিতি। সংখ্যায় প্রায় কয় এক হাজারের মতো হবে। চারপাশের তার ও গাছগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বসে তারা। বিকেল থেকে পরের দিন ভোর পর্যন্ত থাকেন এই পাখিগুলো। ভোর হলেই বেড়িয়ে পরে খাবারের লক্ষে। আবরো ফিরে আসে বিকেলে। যখন ফিরে আসে তখনি তাদের কিচির-মিচিরে মুখরিত হয়ে উঠে এলাকাটি।

 

হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, প্রতি বছরে শেষে ডিসেম্বরে শুরুতে পাখিগুলো ঝাঁক বেধে ফিরে আসে চারমাথা বকুল ফুলের গাছে ডালে ডালে পাখিগুলো দেখতে অনেক ভালোই লাগে। বিশেষ করে যখন ঝাঁক বেঁধে উড়ার দৃশ্য দেখি তখন অনেক বেশি ভালো লাগে। পৌর সভার পক্ষ থেকে প্রতিদিন তাদের দেখভাল করা হয়।তাদের কেউ বিরক্ত না করে। খেয়াল রাখা হয়।

হাকিমপুর উপজেলার চেয়ারম্যান হারুনউর রশিদ হারন বলেন, এই চড়ুই পাখিগুলো জনবসতির মধ্যে থাকতে অনেক বেশি ভালোবাসে। যার কারনে এদের বলা হয় স্প্যারো। যেহেতু এই পাখিগুলো জনবসতির মধ্যে থাকতে ভালোবাসে সেজন্য কেউ যাতে এই পাখিদের মারার চেষ্টা না করেন সকলের কাছে এমনি আহবান করেন তিনি।