ঢাকা ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

হাতিয়ায় বিবস্ত্র করে চিকিৎসক নির্যাতন, গ্রেপ্তার-৫

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ ১৭৪০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে এক পল্লী চিকিৎসককে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও পরে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে ৫জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে নোয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, মোল্লাগ্রামের আবদুল হোসেন মেকারের ছেলে জিয়া বাহিনী প্রকাশ জিহাদ (৩০), আদর্শ গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন (৩০), একই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আবু তাহের (২৭), আবুল কালামের ছেলে নবীর উদ্দিন (৩২) ও মিয়াজী গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪০)।

জানা গেছে, গত ১জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এক গৃহবধূ (৩২) জনতা বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিল। এসময় ফারুক ও তার সহযোগিরা ওই গৃহবধূর দিকে টর্চলাইট মারলে সে দৌঁড়ে ওই চিকিৎসকের মুরগির খামারের সামনের একটি কক্ষে ডুকে যায়। তখন চিকিৎসক ওই কক্ষের ভিতরে ছিলেন। এমতাবস্থায় ফারুক তার লোকজন নিয়ে কক্ষটির বাহিরে তালা লাগিয়ে শোরচিৎকার করে আরও লোকজন জড়ো করে। কক্ষের ভিতরে থাকা ওই চিকিৎসক জানালা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে ফারুক, তার লোকজন ও স্থানীয়রা নারীসহ তাকে বাহিরে এনে অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে মারধর করে একটি সুপারী গাছের সাথে বেঁধে রাখে। পরে খবর পেয়ে মোর্শেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে।

পুলিশ সুপার জানান, এলাকার কিছু উৎশৃঙ্খল বখাটে যুবক অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে পল্লী চিকিৎসক ও একজন গৃহবধূকে মারধর করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। পুরুষ নির্যাতনের ঘটনাটি তারা মোবাইলে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসলে রোববার তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনায় নির্যাতনের শিকার পল্লী চিকিৎসক বাদী ১১জনকে আসামী করে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করলে রাতেই অভিযান চালিয়ে পাঁচ আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

অপরদিকে, নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ তাকে নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে গত ৫জানুয়ারি মঙ্গলবার জিহাদ, ফারুক, এনায়েত, ভুট্ট মাঝি ও ফারুক হোসেনকে আসামী করে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

হাতিয়ায় বিবস্ত্র করে চিকিৎসক নির্যাতন, গ্রেপ্তার-৫

আপডেট সময় : ০৯:২৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে এক পল্লী চিকিৎসককে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও পরে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে ৫জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে নোয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, মোল্লাগ্রামের আবদুল হোসেন মেকারের ছেলে জিয়া বাহিনী প্রকাশ জিহাদ (৩০), আদর্শ গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন (৩০), একই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আবু তাহের (২৭), আবুল কালামের ছেলে নবীর উদ্দিন (৩২) ও মিয়াজী গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪০)।

জানা গেছে, গত ১জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এক গৃহবধূ (৩২) জনতা বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিল। এসময় ফারুক ও তার সহযোগিরা ওই গৃহবধূর দিকে টর্চলাইট মারলে সে দৌঁড়ে ওই চিকিৎসকের মুরগির খামারের সামনের একটি কক্ষে ডুকে যায়। তখন চিকিৎসক ওই কক্ষের ভিতরে ছিলেন। এমতাবস্থায় ফারুক তার লোকজন নিয়ে কক্ষটির বাহিরে তালা লাগিয়ে শোরচিৎকার করে আরও লোকজন জড়ো করে। কক্ষের ভিতরে থাকা ওই চিকিৎসক জানালা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে ফারুক, তার লোকজন ও স্থানীয়রা নারীসহ তাকে বাহিরে এনে অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে মারধর করে একটি সুপারী গাছের সাথে বেঁধে রাখে। পরে খবর পেয়ে মোর্শেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে।

পুলিশ সুপার জানান, এলাকার কিছু উৎশৃঙ্খল বখাটে যুবক অনৈতিক কাজের অপবাদ দিয়ে পল্লী চিকিৎসক ও একজন গৃহবধূকে মারধর করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। পুরুষ নির্যাতনের ঘটনাটি তারা মোবাইলে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসলে রোববার তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনায় নির্যাতনের শিকার পল্লী চিকিৎসক বাদী ১১জনকে আসামী করে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করলে রাতেই অভিযান চালিয়ে পাঁচ আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

অপরদিকে, নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ তাকে নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে গত ৫জানুয়ারি মঙ্গলবার জিহাদ, ফারুক, এনায়েত, ভুট্ট মাঝি ও ফারুক হোসেনকে আসামী করে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন হাতিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক।