ঢাকা ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

কোম্পানীগঞ্জে জেলে কার্ডের চাল বিতরণে অনিয়ম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মে ২০২০ ৩২৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অধিদফতরে নিবন্ধিত ৩০০টি জেলে কার্ডের দ্বিতীয় কিস্তি চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একাধিক কার্ডধারীর অভিযোগ, কার্ডপ্রতি ৮০ কেজি করে চাল বরাদ্দ থাকলেও তারা ৬৮ থেকে ৭০ কেজি চাল পেয়েছেন। এছাড়া তালিকাভুক্ত ৭৮ জন জেলে কার্ডধারী স্থান পরিবর্তন করায় তাদের কার্ডের চাল বিতরণ করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এই চাল বিতরণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায়, জেলেদের বিনামূল্যে চাল বিতরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার (একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী) নজরুল ইসলামের অনুপস্থিতে ৩০০টি জেলে কার্ডের চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এ সময় চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থান করলেও চাল বিতরণ স্থলে ছিলেন না। পরে গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতির কথা শুনে তিনি চাল বিতরণ স্থলে আসেন।

ট্যাগ অফিসার নজরুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান তাকে না জানিয়ে বৃহস্পতিবার চাল বিতরণ করেন। কোনো কার্ডধারীকে ৮০ কেজির থেকে ওজনে কম চাল দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারাই এটা বলছে। তিনি বলেন, অনেক জেলে বর্তমানে চরফকিরায় বসবাস করেন না। তাদের ৭৮ জনের চাল এখনও বিতরণ করা হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদকে এ বিষয়ে আমি অবহিত করেছি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, অভিযোগ আসার পরই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কোম্পানীগঞ্জে জেলে কার্ডের চাল বিতরণে অনিয়ম

আপডেট সময় : ০১:৩৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মে ২০২০

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অধিদফতরে নিবন্ধিত ৩০০টি জেলে কার্ডের দ্বিতীয় কিস্তি চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একাধিক কার্ডধারীর অভিযোগ, কার্ডপ্রতি ৮০ কেজি করে চাল বরাদ্দ থাকলেও তারা ৬৮ থেকে ৭০ কেজি চাল পেয়েছেন। এছাড়া তালিকাভুক্ত ৭৮ জন জেলে কার্ডধারী স্থান পরিবর্তন করায় তাদের কার্ডের চাল বিতরণ করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এই চাল বিতরণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায়, জেলেদের বিনামূল্যে চাল বিতরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার (একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী) নজরুল ইসলামের অনুপস্থিতে ৩০০টি জেলে কার্ডের চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এ সময় চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থান করলেও চাল বিতরণ স্থলে ছিলেন না। পরে গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতির কথা শুনে তিনি চাল বিতরণ স্থলে আসেন।

ট্যাগ অফিসার নজরুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান তাকে না জানিয়ে বৃহস্পতিবার চাল বিতরণ করেন। কোনো কার্ডধারীকে ৮০ কেজির থেকে ওজনে কম চাল দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারাই এটা বলছে। তিনি বলেন, অনেক জেলে বর্তমানে চরফকিরায় বসবাস করেন না। তাদের ৭৮ জনের চাল এখনও বিতরণ করা হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদকে এ বিষয়ে আমি অবহিত করেছি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, অভিযোগ আসার পরই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।